প্রতিবন্ধী শিশুরাও সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘একটু আদর, পরিচর্যা ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অনগ্রসর ও পশ্চাদপদ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরাও তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে স্বাভাবিক, সুস্থ শিশুদের মতো সংস্কৃতি, ক্রীড়া, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষ অবদান রেখে জাতির জন্য গৌরব বয়ে আনতে পারে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে সোসাইটি ফর দ্য ইন্টেলেকচুয়ালি ডিসএবল্ড বাংলাদেশ (সুইড বাংলাদেশ) আয়োজিত বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক ও আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবন্ধী শিশুদের সমাজের বোঝা মনে না করে তাদের সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার এ সকল শিশুদের প্রতি খুবই অনুভূতি প্রবণ। তাদের উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি বিদ্যালয় প্রতিবন্ধী শিশুদের পড়ালেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ভর্তি কোটা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া সুইড বাংলাদেশ ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের সংস্কৃতি, ক্রীড়া, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে চলেছে। এসকল শিশুরা বিশ্ব অঙ্গনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে।’
সমাজের বৃত্তবানদের এসকল শিশুদের উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় সকল ধরনের প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা-প্রশিক্ষণ, প্রতিবন্ধী সেবা সাহায্য কেন্দ্র এবং অটিস্টিক রিসোর্স সেন্টার ও একীভূত শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নেও সুইড বাংলাদেশ সম্পৃক্ত এবং সহযোগী সংগঠন হিসেবে প্রতিবন্ধী শিশুদের জীবন-মান-উন্নয়নে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সুইড বাংলাদেশের উদ্যোগে ও পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে স্পেশাল অলিম্পিকস প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এখন পর্যন্ত সুইড এর সহযোগিতায় এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই