প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে হতে পারে ক্যানসার!

কর্মব্যস্ত দিন আমাদেরকে বিশ্রাম শব্দটি ভুলিয়ে দিতে বসেছে। ঠিকমতো নাওয়া-খাওয়া তো দূরে থাক নিজের খাবার তৈরির সময়টুকু নেই। সময়ের অভাবে রেস্তরাঁর খাবার একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সুযোগে নিজের অজান্তেই নানা রোগ এসে শরীরে আস্তানা করে। যখন টের পায় তখন আর কিছুই করার থাকে না। সারা বিশ্বে একটা বড় অংশের মানুষ প্রসেসড ফুড খেয়ে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও অবসাদে ভুগছেন। এমনকি মরণঘাতি ক্যানসারও শরীরে বাসা বাধতে পারে। তাই বাইরে খাওয়ার আগে অবশ্যবই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ।

মাদকাশক্তি

সপ্তাহে দুয়েকবার পার্টি বা নানা জায়গায় গিয়ে পান করার অভ্যাস রয়েছে। এছাড়া যারা নিয়মিত ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য সেবন করলে তাদের ক্ষেত্র ক্যানসারের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতের সবচেয়ে বেশি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হন তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করেই। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি হয় ওরাল ক্যানসার। তাই যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো।

কোমল পানীয়

গ্রীষ্মের খরতাপে তৃষ্ণা মেটাতে চাই একগ্লাস ঠাণ্ডা কোমল পানীয়। সময়টা এখন নানা ব্র্যান্ডের কোমল পানীয় পানে নিজেকে তৃপ্ত করা। কিন্তু এই কোমল পানীয়তে থাকা নানা উপকরণ ক্যানসারের মতো বিপদ ডেকে আনে সবচেয়ে বেশি।

পপকর্ন

সিনেমা হলে গিয়ে পপকর্ন না খেলে অনেকেরই সিনেমা দেখাটা পূর্ণতা পায় না। অথচ পপকর্নের ভিতর এমন একধরণের অ্যাসিড থাকে যা শরীরে টিউমার গঠনে সহায়তা করে। এছাড়াও বেশি পপকর্ন খেলে যকৃত, অগ্ন্যাশয় ইত্যাদিতে ক্য়ানসারের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

তৈরি খাবার

সামান্য গরম করে নিলেই হয়ে গেল রেস্তরাঁর খাবারের মতো মজাদার খাবার। অনেকে আবার ওজন কমাতে কৃত্তিম চিনি, ডায়েট সোডা ওয়াটার খাচ্ছেন দিনের পর দিন। কষ্ট বাঁচাতে শপিং মল থেকে কিনে নিয়ে আসছেন প্রসেসড মিট। অথচ এসব খাবারের মধ্যে থাকা নানা উপকরণ ক্যানসারের জন্য দায়ি। এছাড়াও এই ডায়েট খাবারের কারণে আপনার শিশুর স্থায়ী সমস্যা হতে পারে।

ফাস্ট ফুড

ফ্রেন্স ফ্রাই, বার্গার, সসেজ আমাদের খুবই পছন্দের। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এসব খাবার নিয়মিত খেলে ক্যানসারের আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়। আলুর মতো খাবার অতিরিক্ত তাপে ভাজা বা বেক করার কারণে এতে উৎপন্ন উপাদান দেহে ক্যানসারের কোষ গঠনে সহায়ক। এছাড়াও প্যাকেটজাত আলুর চিপসে থাকে কৃত্তিম স্বাদ ও গন্ধ যা মানব দেহে টিউমার গঠনে সাহায্য করে। ফলে সাবধানতা অবলম্বন আবশ্যক।

ফল-মূল না ধুয়ে খাওয়া

অনেকসময়ই আমরা ফলমূল না ধুয়ে খায়। অথচ চাষ থেকে ‍শুরু করে আপনার হাত পর্যন্ত পৌঁছতে তাতে নানা কীটনাশকের ব্যবহার করা হয়। তাই না ধুয়ে এই ফল খাওয়া মানেই তাই ক্যানসারকে আমন্ত্রণ জানানো। সুতরাং এই অভ্যাস পরিবর্তন করা জরুরি।



মন্তব্য চালু নেই