প্রচলিত আইন বহির্ভূত কোন বয়ান দেবেন না : ইমামদের প্রতি হাইকোর্ট
‘একজন ইমামের দায়িত্ব হলো মুসল্লিদের নামাজ পড়ানো এবং ইসলামের জ্ঞান মুসল্লিদের দেয়া। ইমাম সাহেবরা এমন কোন বয়ান দেবেন না যেটা প্রচলিত আইন বহির্ভূত।’
রোববার ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলার আপিলে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে এসব কথা বলা হয়।
ওই রায়ে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম দীপের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অন্য আসামি মাকসুদুল হাসান অনিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং অন্য আসামি এহসান রেজা, নাঈম শিকদার ও নাফিজ ইজতিয়াজ, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমুদ্দিন রাহমানী, সাদমান ইয়াছিরকে বিচারিক আদালতের দেওয়া বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডাদেশ বহাল থাকে।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এর পর্যবেক্ষণে আরো বলা, ‘যদি কেউ ইসলাম, নবী (সা:) কিংবা অন্য কোন ধর্ম নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বা ফেসবুকে পোস্ট দেয় তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়। মনে রাখতে হবে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারো নেই।’
“এই হত্যা মামলার এভিডেন্স ও আর্গুমেন্ট থেকে দেখা যায় মুফতি জসীমুদ্দিন রাহমানি বাদে বাকি ৭ জন মেরিটরিয়াস স্টুডেন্ট। কিন্তু তারা কেন এই পথে গেলেন সেটা আমরা খুঁজে পাইনি।”
তবে এপথে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে উল্লেখ করে আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘সন্তানদের সঠিক পথে রাখতে অভিভাবকদের বেশি দায়িত্ব বহন করতে হবে। আমাদের অনেক অভিভাবক নিজেদের লাইফস্টাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। বাচ্চাদের মানসিকতা বিবেচনায় না নিয়ে এরিস্টোক্রেসি মেইনটেইন করার জন্য যে কোন পড়াশুনা তাদের উপর চাপিয়ে দেয়।’
পর্যবেক্ষণে পুলিশের আইজিপিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, এ ধরনের মামলাসহ সব ধরনের মামলায় এমন সব কর্মকর্তাদের নিয়োজিত করতে হবে, যারা শুধু নিজের না দেশের জন্য কাজ করবে।’
মন্তব্য চালু নেই