প্রচণ্ড গরম আরো অন্তত দু’দিন চলবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।গত কিছুদিন ধরে প্রায় সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে তীব্র দাবদাহ, যাতে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। রোববার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড রেকর্ড করা হয় রাঙামাটিতে। এদিন ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সানাউল হক মণ্ডল বলেন, “বিরাজমান আবহাওয়া অন্তত আরো দু’দিন থাকবে। এরই মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।” বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় অসহনীয় গরম অনুভূত হচ্ছে বলে জানান তিনি। ঢাকায় বাতাসে আর্দ্রতা রোববার প্রায় ৭৭ শতাংশ।“বৈশাখের শুরুতে এপ্রিলের এমন সময়ে তাপদাহ স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমে আসবে। গত বছর এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। স্বাধীনতা উত্তর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রেকর্ড ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সিলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল। এ সপ্তাহের শেষে বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিলেন আবহাওয়াবিদ সানাউল। তাপমাত্রা বাড়লেও কোনো নিম্নচাপের শঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এসময় দেশের উত্তর, উত্তরপূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন বজ্রসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় এবং দেশের অন্যান্য স্থানে তিন থেকে চার দিন হালকা বা মাঝারি কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। চলতি মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে এবং অন্যান্য এলাকায় দুই থেকে তিনটি মৃদু বা মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই