পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরাশিয়েমা বাঁশবন !

আরাশিয়েমা বাঁশবন এর বন্দরে বন্দরে যাতায়াতের জন্য বিখ্যাত। বসন্তে তার চেরি পুষ্প অথবা শরৎকালের উজ্জ্বল রংয়ের জন্য এর মহিমা আরও উজ্জীবিত হয়।

আরাশিয়েমা বাঁশবন তার ল্যান্ডমার্ক সেতুর জন্য অনেক সুপরিচিত। সেতুটির নাম ‘টোগেটসুকিও’, যা পর্যটকেরা ফটো তোলার জন্য ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও এখানে আরও একটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যা সেতুর চেয়েও সুন্দর। এখানে, যে বাঁশ রয়েছে তা ৫০০ মিটার দীর্ঘ। যা টেন্রুইজি মন্দির ও ননমিয়া শ্রাইনের মধ্যে অবস্থিত।

জাপানিদের সাথে বাঁশের অনেক পুরাতন সম্পর্ক রয়েছে। এর পেছনে দীর্ঘ ইতিহাস, পৌরাণিক ও কাল্পনিক ইতিহাসও রয়েছে। তাদের অনেক উৎসবে বাঁশের ব্যবহার করা হয়। আমরা আইসক্রিমের কাপে, বিল্ডিং ও বেড়াতে বাঁশের ব্যবহার দেখতে পাই। কিন্তু, আমরা কখনও প্রাকৃতিক অবস্থায় বাঁশের লাইন দেখার সুযোগ পাই না। যা এখানে দেখতে পাওয়া যায়।

সবচেয়ে সুন্দর স্পট বাঁশবনের শুরুতেই দেখা যায় না। কিন্তু, হাঁটতে হাঁটতে যখন মন্দিরের কাছাকাছি যাওয়া যায়, যেখানে বাঁশগুলো আরও দূরে দূরে ও সুন্দরভাবে সজ্জিত হয়ে মন্দিরে যাবার পথ তৈরি করে। এখানের, সৌন্দর্য বড়ই অপরূপ।

সূর্যাস্তের সময় এখানে মনোরম দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। বাঁশের ফাঁকে ফাঁকে লাল আভার সঞ্চার হয়, সূর্যালোকে সবকিছু জ্বলজ্বল করতে থাকে। রাস্তায় বাঁশের ছায়ার সৃষ্টি হয়। যখন বাতাস প্রবাহিত হয় তখন চলন্ত ইমেজ দেখতে পাওয়া যায়। এই বনের সবচেয়ে প্রশান্তির দৃশ্য এটি।

এখানে, ভ্রমণের জন্য আপনি রিকশার ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে রিকশায় করে ভ্রমণের জন্য ৫০০০-৭০০০ টাকা লাগতে পারে। এক্ষেত্রে, যতটুকু যায়গা আপনি ভ্রমণ করবেন, ঠিক ততটুকু যায়গার খরচ বহন করতে হবে।

বাঁশবনে ঘোরার জন্য আপনার কোন টাকা ব্যয় হবে না। তবে এর জন্য আপনি শুধু নিজেকে এবং আপনার ক্যামেরাকে প্রস্তুত করুন।

সূত্র: জাপান ট্রাভেল।



মন্তব্য চালু নেই