যশোরে ধসে পড়া মার্কেটে

পুলিশের নির্দেশ এক সপ্তাহেও কার্যকর হয়নি

সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। যে কারণে আতঙ্ক নিয়ে ব্যবসা করছে যশোর শহরের লোহাপট্টিতে কয়েকজন ব্যবসায়ী। লোহাপট্টির ঢমপট্টির ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা ওই মার্কেটে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে আসছিল। সম্প্রতি (৪ মে) ওই মার্কেটের শাওন লাইট হাউজের ছাদ ধসে এক যুবক আহত হয়। সে সময় রক্তাক্ত ওই যুবককে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তার তার মাথায় ৫টি সেলাই দিয়ে বাড়ি পাঠায়। এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই মার্কেটের সকল দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে পুলিশ আর ঝুঁকিপূর্ণ ওই মার্কেট বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, ৪ মে সকালে তারা দোকান খুলে বসেছিলেন। এমন সময় মার্কেটের ছাদ ভেঙ্গে পড়তে থাকে। এতে ওই মার্কেটের শাওন লাইটহাউজের পুরে ছাদ খসে পড়ে। ওই সময় দোকানে থাকা শাওনের মাথায় ছাদের পলেস্তারা খসে পড়লে সে মারাত্মক আহত হন। এ সময় আশপাশের দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা তাকে উদ্ধার করে। রক্তাক্ত অবস্থা তাকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকরা তার মাথায় ৫টি ব্যান্ডেজ করে চিকিৎসা দেয়। ভয়ে দোকানের মালিকরা দিক-বিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। খবর পেয়ে কোতয়ালি থানা থেকে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। দোকান মালিকরা আরও জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে মার্কেটের মালিককে নতুন করে দোকান সংস্কার করার জন্য বললেও তা তিনি করছেন না। ফলে হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তবে এ সময় মার্কেটের মালিককে পাওয়া যায়নি।

তবে মার্কেটের মালিক ইমান আলী মুঠো ফোনে জানান, তিনি মার্কেটের ভেঙ্গে ফেলার জন্য ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হয়েছে। আলাপ-আলোচনা চলছে।
এ ব্যাপারে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার আক্কাস আলী জানান, আগেই পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে এসেছে। তারা দোকান মালিকদের মালামাল সরিয়ে নিয়ে দোকান বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তারা যদি দোকান চালু রাখে তাহলে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই