পুলিশের গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহত

রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম একেএম মোজতামসীর আশরাফ শুভ্র (২৫)। তার বাবার নাম একেএম আব্দুল মান্নান খান। তিনি জেলা ও দায়রা জজের ইনস্পেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রার। উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের ২৭ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর হাউজে থাকেন।
পুলিশের গাড়ির সঙ্গে শুভ্রর গাড়ির ধাক্কায় নিহত হন তিনি। তবে এ দুর্ঘটনা নিয়ে পুলিশ এবং নিহতের পরিবার দুই ধরনের অভিযোগ করেছেন। পুলিশের দাবি, শুভ্রর গাড়ি পুলিশের গাড়িকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগ পুলিশের গাড়ির ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে শুভ্রর।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে তেজগাঁওয়ের শাহিনবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তেজগাঁ থানার এসআই সরদার নিজামুল হক জানান, রাত একটার দিকে শাহীনবাগ এলাকায় পুলিশের গাড়ি নিয়ে তারা চেকপোস্ট ডিউটি করছিলেন (ঢাকা মেট্র ঠ ১১-১৬০৫)। এমন সময় শুভ্রর গাড়িটি (ঢাকা মেট্র ব ২৯-০৩৫০) দ্রুতগতিতে এসে তাদের গাড়ির ওপর উঠে যায়। গাড়িতে শুভ্রর বান্ধবি ছিল বলে জানান তিনি।
এসআই সরদার আরও জানান, এসময় গুরুতর আহত হন শুভ্র। পরে তাকে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়।
এঘটনায় তিনিসহ পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানান এসআই। তারা হলেন- কনস্টেবল আবুল হোসেন, আনাসার সদস্য ফোরকান ও আব্দুর রাজ্জাক।
এদিকে শুভ্রর বড় চাচা আনিসুর রহমানের দাবি, পুলিশের গাড়িই শুভ্রর গাড়িকে ধাক্কা দিলে শুভ্র মারা যায়।
তিনি জানান, পুলিশের গাড়িটি অনেক পুরনো ছিল। সত্য ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য নতুন নাটক সাজানো হচ্ছে।
এদিকে শুভ্রর পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য ঢামেকে আসেন সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। এসময় তার সঙ্গে অন্যান্য কর্মকর্তারাও আসেন।
নিহতের চাচা এবং স্বজনরা জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই