‘পুলিশের এই সেবামূলক কার্যক্রম সবসময় যেন থাকে’

তিন বছরের বাচ্চাকে নিয়ে বড্ড বিপাকে পড়েছিলেন বাবা হালিম। আজ পহেলা বৈশাখে রমনা পার্কে বৈশাখী উৎসবে গিয়েছিলেন তারা। প্রচ- গরম আর তীব্র খরতাপে তেষ্টায় যেন দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা। ছোট বাচ্চাটি বার বার তার বাবাকে পানির জন্য তাগিদ দিচ্ছিল। এ অবস্থা দেখে ডিএমপি’র এক কনস্টেবল তাকে হাসিমুখে হাত ধরে ডিএমপি’র বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ কেন্দ্রের দিকে নিয়ে যান এবং তাকে এক বোতল বিশুদ্ধ পানি তুলে দেন। বাবা হালিম পুলিশের এরকম সেবামূলক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারের এ প্রতিবেদক কে বলেন-সত্যিই পুলিশ ভাইয়েরা দুঃসময়ের বন্ধু, পুলিশের এই সেবামূলক কার্যক্রম সবসময় যেন থাকে’।

আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে রমনা পার্ক, টিএসসি ও রবীন্দ্র সরোবর এলাকাতে ৫০ হাজার বোতল বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও রমনা পার্কের চারটি গেট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমূখে গোলাপ ফুল, বাতাসা, খৈ দিয়ে আগত জনসাধারণকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় বৈশাখী উৎসবকে ঘিরে ঢাকা মহানগর পুলিশের সার্বিকি নরাপত্তা কার্যক্রম সফল হয়েছে উল্লেখ করে উৎসবে আগত জনসাধারণ সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এ ব্যবস্থার ভূয়সী প্রসংশা করেন। তাদেরই একজন নেত্রকোণা থেকে আসা বদরুল ইসলাম বলেন- আমি এবার ইচ্ছা করেই ঢাকায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন করার জন্য এসেছি। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পুলিশের সার্বিক জনসেবামূলক কার্যক্রমগুলো দেখে আমি রীতিমতো মুগ্ধ। আমি ভাবতে পারিনি পুলিশ সদস্যরা ফুল দিয়ে মানুষকে শুভেচ্ছা জানাতে পারে।

13001312_706171052819456_5043200902424453303_n

সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা ও সেবা দিতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের ও কম কষ্ট পোহাতে হয়নি। ভোর ০৪.০০ টা থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত ছিল। তারা প্রচন্ড গরম ও উত্তাপের মধ্যেও এতোটুকু বিরক্তবোধ ছিলনা বরং হাসিমুখে সবকিছু মেনে নিয়ে প্রতিটি পুলিশ সদস্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এ ব্যাপারে টিএসসির সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কনস্টেবল মোফাজ্জল বলেন-আমাদের আনন্দ একটাই যে আমরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছি বলেই আজ সবাই নির্বিঘেœ নববর্ষ উৎসব পালন করছে। কথাগুলো বলতে বলতে মাথা থেকে কপালে চুয়ে পড়া ঘাম মুছতে মুছতে তিনি আরও বলেন-আমাদের কাজই তো হলো মানুষকে সেবা দেওয়া’।

13007181_706171066152788_6312077310098974226_n

পুলিশের সেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের পক্ষ থেকে রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করা হয় এবং এখানে ১০১ জন পুরুষ ও নারী রক্তদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টার থেকে মাইকিং এর ব্যবস্থা করে আজ ২৪ জন মেয়ে ও ছেলে শিশু কে তাদের অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় অভিভাবকগণ পুলিশের এ রকম সুন্দর একটি ব্যবস্থা দেখে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা কৃতজ্ঞ চিত্তে পুলিশের এই সেবামূলক কার্যক্রমকে স্বাগত জানান।



মন্তব্য চালু নেই