পাবনায় ১৯৪৪ টি কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শনিবার দেশের দুই কোটি ১৫ লাখেরও বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পাবনা সিভিল সার্জন আয়োজিত সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জন্য এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত এ তথ্য উপাস্থাপন করা হয় পাবনা সিভিল সার্জন ডা. শহিদ মো. সাদিকুল ইসলাম জানান- ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান আগামি ২৫ এপ্রিল শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন করবে। এ দিনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একই সঙ্গে শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর জন্য পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে।’পাবনার একটি শিশু যাতে ভিটামিন এ প্লাস খাওয়া থেকে বাদ না পরে এজন্য সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
ডা. শিউলি রানি সাহা কর্মশালায় তথ্য উপাস্থাপন কালে বলেন, ক্যাম্পেইনের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্র খোলা থাকবে। শিশুদের ভরা পেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরে থাকা তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে তিনজন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে।’ এবার একদিনেই শতভাগ শিশুকে বিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে শিশু যে শুধু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায় তা নয়, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখবে। শর্করা জাতীয় খাদ্য স্বাভাবিক পরিপাকে সাহায্য করে। শরীরের ত্বক, হাড়, দাঁতের গঠন ও সুস্থতা রক্ষায় সহায়তা করে। ভিটামিন ‘এ’ ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল এবং হামের জটিলতা কমায়।
তিনি বলেন, এ কর্মসূচির ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর হার ১০০ ভাগে উন্নীত করার ফলে রাতকানা রোগের গড় ১ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। প্রচার কার্যক্রমের কারণে শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ৬৪ ভাগে উন্নীত হয়েছে।
জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মোহা: রবিউল আলম জানান- পাবনায় ১৯৪৪ টি টিকাদান কেন্দ্রে ৬১৮০ জন তদারককারী ও টিকাদানকারীরর সহযোগীতায় ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানো হবে।
কর্মশালায় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মোর্শেদ সুবহানী, মোস্তফা সতেজ, অধ্যক্ষ(অব:) আবদুল মতীন খান, অধ্যাপক রুমী খন্দকার, অধ্যাপক শহিদুর রহমান শহিদ , অধ্যাপক মাহববুর রহমান, সুশীল তরফদার, জিকে সাদী, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সুইট, নরেশ মধূ, বিপ্লব চৌধুরী, কাজি মোর্শেদ বাবলা, আবুল আহসান এলিচ, কামাল আহমেদ সিদ্দিকী, সৈকত আফরোজ, সিফাত রহমান সনম, তপু আহমেদ, আলাউদ্দিন, এসএম আলম, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই