পাবনার আটঘরিয়ায় খোলা আকাশের নিচে পাঠ দান
ভূ-কম্পনে বিদ্যালয় ভবনে ফাটল ও প্লাস্টার খসে পড়ায় ভবন পরিত্যক্ত ঘোষনার পর শ্রেণিকক্ষের অভাবে পাবনার আটঘরিয়ার হাপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধীক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে পাঠ দান করতে হচ্ছে ।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৫ সনে স্থাপিত আটঘরিয়ার হাপানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি ১৯৯৪ সনে ঝুঁকি পূর্ণ ঘোষনার পর ১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছরে চার কক্ষ বিশিষ্ঠ এই ভবন নির্মাণ করা হয়। গত ২৫ এপ্রিল ভূ-কম্পনে এই ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও প্লাটর খসে পড়তে খাকে। এ সময় প্লাষ্টার খসে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। এ অবস্থায় উপজেলা প্রকৌশলী ভবনটি পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এরপর থেকে ভবনের অভাবে খোলা আকাশের নিচে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে পাঠ দান করতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সাজেদা খাতুন বলেন, আতঙ্কে অনেকই বিদ্যালয়ে আসছে না। অনেকইে পাশ্ববর্তী বিদ্যালয়ে তাদের সন্তানদের পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে জানালেন তিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক আবদুস সালাম বলেন, দুই শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রোদ বৃষ্টিতে পাঠদান করাত নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। মেঘলা আকাশ দেখা দিলেই ছুটি ঘোষণা করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আটঘরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বিদ্যালয়ের দুরাবস্থার কথা শ্বিকার করে বলেন, বিদ্যালয়টির ভবন ভূ-কম্পনে ফেটে ও প্লাষ্টার খসে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল হিসেবে চিহ্নিত করা করে পরিত্যক্ত ঘোষানা করা হয়েছে। আপাতত গাছ তলায় শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তবে বরাদ্দ পেলেই কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানালেন তিনি।
বর্ষা মৌসুমের আগেই পাঠ দানের জন্য বিকল্প ভবন তৈরি করা না হলে শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের যেমন ব্যাঘাত ঘটবে তেমনি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা একেবারেই কমে যাবে বলে ধারণা করছে শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
মন্তব্য চালু নেই