পাটের জিন আবিষ্কারক ড. মাকসুদুল আর নেই
পাটের জিন আবিষ্কারক বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
মরহুমের ভাই মেজর জেনারেল (অব.) মঞ্জুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে কুইন্স মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাকসুদুল আলম। সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় হাওয়াইয়ান জেনারেল পার্কে মরহুমের দাফন করা হবে।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এরপর থেকেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন মাকসুদুল। এর আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত থেকে তার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ শুরু হয়। একই সঙ্গে তার লিভার, কিডনি এবং ফুসফুস অকেজো হয়ে পড়ে।
মাকসুদুল আলম ফরিদপুরে ১৯৫৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দলিল উদ্দিন আহমেদ ছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) একজন কর্মকর্তা এবং তার মা ছিলেন লিরিয়ান আহমেদ একজন সমাজকর্মী ও শিক্ষিকা। তিনি রাশিয়ার মস্কো রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অণুপ্রাণবিজ্ঞানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরে জার্মানিতে বিখ্যাত ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৮৭ সালে প্রাণরসায়নে পুনরায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাটাসফটের একদল উদ্যমী গবেষকের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সফলভাবে উন্মোচিত হয় পাটের জিন নকশা । ২০১০ সালের ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের ঘোষণা দেন।
ড. মাকসুদুল গত ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে বসবাস করছিলেন। হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন বাই প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
মন্তব্য চালু নেই