জামায়াত-শিবিরের গোপন বৈঠক, আটক ১৫

সিলেটে জামায়াত-শিবিরের গোপন বৈঠক থেকে ১৫ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, দর্জি কল্যাণ সমিতির ব্যানারে এ গোপন বৈঠক চলছিল।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যান্ত কোতোয়ালী থানা পুলিশ নগরীর আল-হামরা শপিং সেন্টারের হামাদান রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।

জানা গেছে, দর্জি কল্যাণ সমিতির ব্যানারে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে আল-হামরা শপিং সেন্টারের হামাদান রেস্টুরেন্টে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা গোপন বেঠক শুরু করে। ওই বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এছাড়াও সিলেট জেলা ও মহানগর জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে রাত ৯টায় কোতোয়ালী মডেল থাকার ওসি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আল-হামরা শপিং সেন্টারে অবস্থান নেয়। পরে রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১৫ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আটক করে। কিন্তু জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ নেতারা কৌশলে পালিয়ে যান।

সূত্র জানিয়েছে, দর্জি কল্যাণ সমিতির ব্যানারে জামায়াত-শিবির সরকার বিরোধী আন্দোলনের কর্মপন্থা নির্ধারণের জন্য ওই গোপন বৈঠকের আয়োজন করেছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর জামায়াতের এক নেতা জানান, গোপন বৈঠকে সিলেট জেলা ও মহানগর জামায়াতের প্রায় সকল শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের অভিযানের টের পেয়ে তারা কৌশলে পালিয়ে যান। বৈঠকে উপস্থিত সকল নেতাকে আটক করা হলে সিলেট জামায়াত-শিবিরে নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়তো বলে দাবি করেন তিনি।

সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মবশ্বির আলী জানান, আল-হামরা শপিং সেন্টারে জামায়াত-শিবির দর্জি কল্যাণ সমিতির ব্যানারে একটি গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে রাত ৯টায় আল-হামরা শপিং সেন্টারে পুলিশ অবস্থান নেয়। পরে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক জন জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটক করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই