পাকিস্তান যদি ‘বাংলাওয়াশ’ হয়…

২০১৯ বিশ্বকাপ হবে ১০ দলের। সেখানে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ সাত দল খেলবে সরাসরি। বাকি দুটি স্থানের জন্য র‍্যাঙ্কিংয়ের আট ও নয় নম্বর দল বাছাইপর্ব খেলবে আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে। তাই পরবর্তী বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সেরা আটে থাকতেই হবে। না হলে বাছাই পর্ব, যেখানে আয়ারল্যান্ড-স্কটল্যান্ড-আফগানিস্তানরা চোখ রাঙাবে।

বাংলাদেশের অবস্থান এখন আইসিসির র‍্যাঙ্কিংয়ে নবম। ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজ। চলুন দেখা যাক তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজটিতে জয়-পরাজয় কোন দলের ক্ষেত্রে কী প্রভাব ফেলবে।

আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান সাতে, রেলিং পয়েন্ট ৯৫। ৯২ পয়েন্ট নিয়ে আটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে এর পরেই বাংলাদেশ।

ধরে নেই বাংলাদেশ পাকিস্তানকে এই সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করবে। তাহলে র‍্যাঙ্কিংয়ে অবস্থানে কোনো পরিবর্তন না এলেও, বাংলাদেশের লাভ হবে মূল্যবান ৫টি রেলিং পয়েন্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ১৬ রেলিং পয়েন্টের ব্যবধান তখন কমে আসবে ১১তে। তবে সিরিজ পরাজয়ের বেশ চওড়া মাশুল দিতে হবে পাকিস্তানকে। তাদের পয়েন্ট নেমে আসবে ৯২-তে। যার ফলে সমসংখ্যক পয়েন্টধারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ছেড়ে দিতে হবে তালিকার সপ্তম অবস্থানটি। এক ধাপ কমে পাকিস্তান চলে আসবে অষ্টম অবস্থানে।

আবার যদি সিরিজের ফলাফল উল্টো হয়? পাকিস্তান এই সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতলেও রেলিং পয়েন্টে পরিবর্তন হয়তো আসবে, কিন্তু র‍্যাঙ্কিংয়ে দলগত অবস্থানে কোনো অদলবদল হবে না। হোয়াইটওয়াশ করলেও পাকিস্তান পাবে ১ রেলিং পয়েন্ট। এতে তাদের ওপরে থাকা ইংল্যান্ডদের সঙ্গে ৬ পয়েন্টের ব্যবধান কমে আসবে ৫-এ। আর তিনটি ম্যাচেই পরাজিত হলে বাংলাদেশ হারাবে ২টি মহাগুরুত্বপূর্ণ রেলিং পয়েন্ট।

মজার ব্যাপার হচ্ছে এই সিরিজে পাকিস্তানের জন্য রেসিং পয়েন্ট যোগ করা যতটা কঠিন, হারানো তার চেয়ে ঢের সোজা। এক পয়েন্ট যোগ করতে হলে পাকিস্তানকে জিততে হবে সিরিজের তিনটি ম্যাচই। কিন্তু হারলে প্রতি ম্যাচেই বাদ হতে থাকবে একটি করে পয়েন্ট। বাংলাদেশ যদি ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে তাহলে রেলিং পয়েন্ট পাবে ৩। আর যদি বাংলাদেশ কেবল ১টি ম্যাচ জেতে, তাহলে পয়েন্ট পাবে ২।

আইসিসির নতুন বিশ্বকাপ ফরম্যাট অনুযায়ী বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন নিশ্চয়ই র‍্যাঙ্কিংয়ের প্রথম আটটি দলের মধ্যে থাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ম্যাচ এবং প্রতিটি পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে প্রতিটি ম্যাচেই ভালো পারফরম্যান্স নিশ্চিত করার দিকে।



মন্তব্য চালু নেই