পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করল ঢাবি

পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ৭১ সালে গণহত্যার দায় অস্বীকার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে পাকিস্তানের সঙ্গে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিল এ বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বৈঠক শেষ উপচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক উপাচার্য লাউঞ্জে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

এসময় উপাচার্য বলেন, ‘বৈঠকে পাকিস্তানের সঙ্গে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর তারা যদি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাদের ১৯৫জন সেনাসদস্যের বিচার করে শাস্তি প্রদান করে তবেই সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত ডেকে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

এর আগে বিজয়ের মাসকে স্বাগতম জানিয়ে প্রথম প্রহরে ১লা ডিসেম্বর রাত ১২টায় আয়োজিত বিজয় মিছিলের প্রাক্কালে ক্ষমা না চাইলে পাকিস্তানের সঙ্গে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাবি উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। একইসঙ্গে সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ছাত্র প্রতিনিধিও পাকিস্তান যাবে না বলে ঘোষণা দেন তিনি।

উপাচার্য জানন, আজ সোমবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের দিন বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। সেখানে পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করার একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব আসে। তার ওপর টানা এক ঘণ্টা আলোচনা শেষে পাকিস্তানের সঙ্গে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘৭১-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীকে পাক হানাদার বাহিনী হত্যা করেছিল। পাকিস্তান তাদের সে দায় অস্বীকার করেছে। এরপর তাদের সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখার আর কোন মানে হয় না’



মন্তব্য চালু নেই