পাইপে পড়ে শিশু নিহত : রায় ২৬ ফেব্রুয়ারি
রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ের পরিত্যক্ত পানির পাম্পের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের (৩) মৃত্যুর মামলায় রায়ের জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
আদালতে আজ রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসআর হাউসের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আবদুস সালাম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমেদ সাকি, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক ও সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলামসহ ছয় আসামি হাজির ছিলেন। তাঁরা আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দাখিল করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় জিহাদ পাইপের মধ্যে পড়ে যায়। পরে গণমাধ্যমের মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। রাতভর ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার অভিযান করে ব্যর্থ হন। পরের দিন দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান শিশুটি পাইপে নেই বলে ঘোষণা দিয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন।
এর পর শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করেন মজিদ, লিটু ও আনোয়ার নামের তিন ব্যক্তি। তাঁদের তৈরি একটি ক্যাচারের মাধ্যমে জিহাদকে টেনে তোলা হয়।
ওই ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন ফকির ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গত বছরের ৩১ মার্চ মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালতে বদলি হয়ে আসে।
গত বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মন্তব্য চালু নেই