পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিলো ঢাবির চারুকলার মঙ্গল শোভযাত্রা

পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। আর সেই আয়োজনের বড় একটি অংশ ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। বাড়ির কোণে যে লক্ষ্মীপেঁচাকে দেখে সামনের দিনগুলোতে সুখের স্বপ্ন দেখেন গ্রামের কৃষক, সেই পেঁচাকে নিয়ে হলো এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা।

গ্রাম বাংলার লোকজ ঐতিহ্যের নানা প্রতীক নিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রত্যাশায় করা এই শোভাযাত্রায় স্থান পেয়েছে- মা ও শিশু, হাঁস ও মাছের ঝাঁক, বিড়ালের মুখে চিংড়ি, শখের হাঁড়ি। ছিল হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের দুঃসময়ের কাণ্ডারির প্রতীক হিসেবে ‘গাজী ও বাঘ’, সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে লক্ষ্মীপেঁচার পাশাপাশি শিশু হরিণ, মা ও শিশু, হাঁস ও মাছের ঝাঁক। বাঘের দুটি বড় মুখোশ, ময়ূর, ১০টা ছোট পাখি, প্রায় এক হাজার কাগজের ছোট মুখোশ, ১০০টি বড় মুখোশও শোভাযাত্রায় স্থান পায়। নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজিত এই শোভাযাত্রা এরইমধ্যে বাঙালির বর্ষবরণের কেন্দ্রীয় আয়োজনের একটি হিসাবে স্থান করে নিয়েছে; ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, নেচে-গেয়ে যেখানে অংশ নিয়েছে সব বয়সের সব শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাবির চারুকলার সামনে থেকে শুরু হয়ে শেরাটন হোটেল মোড় ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) হয়ে ফের চারুকলায় এসে শেষ হয় শোভাযাত্রাটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপ-উপাচার্য সহিদ আকতার হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দিন, চারুকলা অনুষদের ডিন আবুল বারক আলভী, প্রক্টর আমজাদ আলী এতে অংশ নেন। ২৬তম এই আয়োজন সাজাতে বাংলার লোক ঐতিহ্যের পাশাপাশি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের শততম জন্মবার্ষিকীকেও বিবেচনায় রাখা হয়। ‘জাগ্রত করো উদ্যত করো নির্ভয় করো হে’ বক্তব্যকে ধারণ করে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয় বলে জানান জাতীয় বৈশাখ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল বারক আলভী।



মন্তব্য চালু নেই