পরিবেশ রক্ষায় সুইসাইডার হতে হবে

পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সুইসাইডার বা আত্মত্যাগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সহ সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ।

শুক্রবার দুপুরে ধানমণ্ডি লেকের পারসি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত বাপার সাংগঠনিক সম্মেলন ও দশম সাধারণ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘কোনো দেশে ভারী কামান ও ট্যাঙ্ক নিয়ে যখন শত্রুপক্ষ আক্রমণ করে তখন আক্রান্ত দেশের সেনাবাহিনীর মেজর তার সৈন্যদের বলেন- তোমাদের মধ্যে কে কে প্রস্তুত আছ জীবন দিয়ে শত্রু পক্ষের ট্যাঙ্কগুলো ধ্বংস করে দিতে। তখন উপস্থিত সৈন্য বাহিনীর মধ্যে মাত্র চার শতাংশ সৈন্য হাত উঠিয়ে বলেন আমরা প্রস্তুত। ওই চার শতাংশ বীরদেরকেই পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের জন্য আমাদের খোঁজে বের করতে হবে। পরিবেশ রক্ষার জন্য কিছু মানুষকে সুইসাইডার (আত্মত্যাগী) হতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সবাইকে একটিভ হতে হবে। আমরা একটিভ হলেই সরকারের টনক নড়বে। ওদের জিব টেনে ধরতে হবে।’

আবু সায়ীদ বলেন, ‘আগের নিয়মে বাড়িঘর তৈরি হওয়ায় বর্তমানে ঢাকা শহরে একটি দোসর পথুরে শহরে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে বাড়িঘর নির্মাণে কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে। বাড়ির খালি জায়গায় গাছ লাগতে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’

বাপার অন্য সহ সভাপতি অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘আন্দোলন ছেড়ে সংগ্রামে নামতে হবে। আমরা যদি পরিবেশের উন্নয়ন করতে না পারি তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বলবে হয়তো এ দেশে কোনো শিক্ষিত সচেতন লোক ছিল না। যার কারণে পরিবেশের এমন দশা।’

বাপার সাধারণ সম্পাদক ড. আব্দুল মতিন বাপা সৃষ্টি সম্পর্কে বলেন, ‘আগে শুধু সাংবাদিক, আইনজীবীসহ নির্দিষ্ট কিছু লোকের মধ্যে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন চলতো। নির্দিষ্ট গণ্ডি পেরিয়ে জনগণের মধ্যে আন্দোলনটি ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই বাপা তৈরি হয়েছে। সে লক্ষ্যেই কাজ করছে বাপা।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০ হাজার একরের মতো জমি দখল করে আবাসনের নামে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। সরকার সংশ্লিষ্ট কিছু করাপটেড লোক এগুলো করছে। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ থাকলেও রাজনৈতিক কর্মীরা নদীকে জলাশয়ে পরিণত করে মাছ চাষ করছে। এতে দিনদিন নদী মরে যাচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট কলামিস্ট আবুল মকসুদ, বাপার সহ সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বুড়িগঙ্গা রিভার কিপার ও বাপার যুগ্ম সম্পাদক, শরীফ জামিল, যুগ্মসম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই