পত্নীতলায় সরকারি কমিউনিটি সেন্টারে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে জনদুর্ভোগের অভিযোগ
মোসা: শিউলি খাতুন, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের মান্দাইন বাজারে অবস্থিত সরকারি কমিউনিটি সেন্টারের চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে জনদুর্ভোগ চরমে উঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন ও স্থানীয় এলাকাবসী সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বি-তল ভবন ওই কমিউনিটি সেন্টারটির কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলা ও অনিয়মের ফলে জনদুর্ভোগ দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। এতে চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রায় কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। কর্তব্যরত ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরকারি সময় না মেনে ইচ্ছে মতো দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নামে মাত্র অফিসে কখন আসে, আর কখন চলে যান ওই সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক- তা যেন দেখার কেউ নেই। যেখানে সরকারি ছুটি ছাড়া অফিস বন্ধ রাখার নিয়ম নেই। এছাড়াও কোন রোগি প্রেসার মাপার জন্য আসলে তাকে বাইরে চেম্বার থেকে প্রেসার মাপতে বলেন ওই চিকিৎসক। সেন্টারের চারদিকে অগাছা-জঙ্গলে যেন পরিণত হয়েছে। মনে হয় দেখার যেন কেউ নেই। সেন্টারটি দীর্ঘদিন যাবৎ কোন প্রকার সংস্কার না হওয়ার কারণে জানালার কাঁচ গুলো ভেঙ্গে গুড়ো হয়ে গেছে। অফিস কক্ষের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, চেয়ার বেঞ্চ গুলো এক রুমে তালা বদ্ধ করে রাখা হয়েছে। মনে হয় দীর্ঘদিন মানুষ তো দূরের কথা, কাক পাখিটিও প্রবেশ করেনি সেখানে।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ও মা মেডিক্যাল সেন্টারের স্বত্তাধিকারী সোহরাব জানান, যে সময় ডাঃ সারাফত আলী নিয়মিত বসতেন সে সময় প্রতিদিন রোগির সংখ্যা হতো ৪০ থেকে ৫০ জন। কিন্তু, বর্তমান সময়ে চিকিৎসকের অবহেলা ও পরিবেশ অপরিছন্ন থাকলেও ৮/১০টা রোগি আসে। কিন্তু সঠিক পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা ঠিকমত পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আকবরপুর ইউনিয়নের মান্দাইন বাজারে অবস্থিত সরকারি কমিউনিটি সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার অর্জুন কুমারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপরোক্ত অভিযোগ স্বীকার করে জানান, ‘প্রতিদিন আসার চেষ্টা করি কিন্তু হয়তবা দুই-একদিন ব্যতিক্রম ঘটে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২টা ৩০মিনিট পর্যন্ত অফিসে থাকার নিয়ম। কিন্তু, অফিসে শুধু বসে থেকে কি করব ? রোগি আসেনা সেজন্য ১টার সময় বন্ধ করে চলে যাই’।
এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সচেতন মহলের দাবী এখন একটাই যে, সেন্টারটির সার্বিক সংস্কারসহ চিকিৎসকের শতভাগ উপস্থিতি ও পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ করা হোক ।
মন্তব্য চালু নেই