নোয়াখালীতে কামারুজ্জামানের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

নোয়াখালী শহর কাদির হানিফ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যেগে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মোঃ কামারুজ্জামানের গায়েবানা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৬টায় একটি মসজিদে এই গায়েবানা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজ পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সাবেক সভাপতি নেয়ামত উল্লাহ্ শাকের, কাদির-হানিফ ইউনিয়ন জামায়াতের সহ-সভাপতি মাওলানা শফিউল্লাহ।

জানাজার নামাজ পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ উল্লাহ্ এবং মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুদ্দাছের বারী। বক্তব্য নেয়ামত উল্লাহ্ শাকের বলেন, “ইসলামী আন্দোলনের জন্য শহীদের ঘটনা নতুন নয়। যুগে যুগে ইসলামী আন্দোলন যত অগ্রসর হয়েছে শহীদের সংখ্যা তত বেড়েছে। শহীদ কামারুজ্জামানের শাহাদাত বৃথা যেতে পারে না। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ এ খুনের বদলা নেবে”। জানাজার নামাজে নোয়াখালী শহর জামায়াতের ও ছাত্রশিবিরে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহন করেন।

এদিকে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার পৃথক পৃথক স্থানে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরে ক্ষুব্ধ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল ও ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণ করেছে। তবে এতে কোনো হামলা, সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বা এ ধরনের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার সেনবাগ বাজার ও বীজবাগ ইউনিয়নে এ মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের খবরে সেনবাগের উপজেলা বাজারে ক্ষুব্ধ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়ে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। পরে খবর পেয়ে সেনবাগ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।

অপরদিকে, রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ১৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় পুরো ইউনিয়নে সাধারণের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেছে। বীজবাগে ককটেল বিস্ফোরণের কথা শুনেছি। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের টহল আরো জোরদার করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই