নেতারা বললেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’, এরশাদ ছিলেন চুপ
রায় ঘোষণার পর জাতীয় পার্টির নেতা ও এমপিরা আলহামদুলিল্লাহ বললেও সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ ছিলেন চুপ! রায় ঘোষণার পর গাড়িতে উঠা পর্যন্ত সাংবাদিকরা বার বার প্রতিক্রয়া জানতে চাইলেও কোনো কথা বলেননি তিনি। তবে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রত্যাশিত রায় পেয়েছি। আদালত ন্যায়বিচার করেছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর পরে হলেও এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
অপরদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী তাপস কুমার পাল বলেন, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর এবিষয়ে মন্তব্য করব। সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
এর আগে বুধবার বিকেল ৪টায় রাডার ক্রয় দুর্নীতি মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ তিন আসামির সবাইকে খালাস ঘোষণা করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।
এ রায়কে কেন্দ্র দুপুরের পর থেকেই জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে জড়ো হন।
নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর এরশাদসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট মামলায় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি চার লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা ক্ষতি করেন।
মন্তব্য চালু নেই