নূর হোসেনসহ ২৬ জনের ফাঁসি

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় নূর হোসেনসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া বাকি ৯ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৩৫ আসামির মধ্যে ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২৬ আসামি হলেন- নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়্যব।

কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, র‌্যাবের সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সিপাহি সাদুজ্জামান নূর, নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু।

রহম আলী, আবুল বাশার, নূর হোসেনের সহযোগী ভারতে গ্রেফতার সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান, জামাল উদ্দিন, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সার্জেন্ট এনামুল কবির।

এদিকে এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নিহতদের পরিবার। নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী ও মেয়ে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চান বলে আশা ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের খান সাহেব ওসমানী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন।

পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। অপর মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।

দুটি মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এতে দুটি মামলায় সাক্ষী করা হয় ১২৭ জন করে।



মন্তব্য চালু নেই