নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইটের ভাটায় বেড়েই চলেছে শিশু শ্রমিক

শরীয়তপুরের ইটের ভাটা গুলোতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিশুকে শ্রমিক বানানো হয়েছে। যে বয়সে তাদের বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, সে বয়সে তারা ইটের ভাটায় শ্রম বিক্রি করছে। সরকার শিশু শ্রম বন্ধে আইন এবং সামাজিক আন্দোলন অব্যাহত রাখলেও শরীয়তপুরে শিশু শ্রম বেড়েই চলেছে। কিন্তু প্রশাসনিক ভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শরীয়তপুরের প্রত্যেকটি ইটের ভাটায়ই কম বেশী শিশু শ্রমিক রয়েছে। শরীয়তপুরে ৩৯টি ইটের ভাটা রয়েছে। তার মধ্যে নড়িয়া, জাজিরা এবং গোসাইর হাটে যে সকল ইটের ভাটা রয়েছে, সে সকল ইটের ভাটায় শিশু শ্রমের সংখ্যা অনেক বেশী। শুধু তাই নয়, সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইটের ভাটা গুলোতে হাজার হাজার টন কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। যা পরিবেশ রক্ষায় হুমকি স্বরূপ।

এ ব্যাপারে কয়েকজন শিশু শ্রমিকের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন, আমরা প্রতি বছরই এই ইটের ভাটায় কাজ করি। প্রতিদিন আমাদেরকে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে দেয়া হয়। সপ্তাহে আমরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পাই। এতে আমাদের সংসারের উপকার হয়।

কয়েকজন ইটের ভাটার মালিকের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, আমরা ইচ্ছাকৃত ভাবে শিশুদেরকে দিয়ে কাজ করাই না। আমাদের ভাটায় যে সকল শ্রমিক রয়েছে তারা আমাদের জেলার নয়। তারা অন্য জেলা থেকে এসে আমাদের এখানে স্বামী-স্ত্রী মিলে কাজ করে। সেখানে তাদের সন্তানদেরকে তো আর রেখে আসে না। তাই তাদের সন্তানরা তার মা বাবাকে সহযোগিতা করছে। তবে এ জন্য তাদেরকে আমরা কোন পারিশ্রমিক দেই না।

এ ব্যাপারে ইট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল বেপারীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা কোন শিশুকে দিয়ে কাজ করাই না। যদি কোন ইটের ভাটায় কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হয় তাহলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।



মন্তব্য চালু নেই