নিরাপত্তার কড়াকড়িতে বিরক্ত উৎসবপ্রেমীরা
নিরাপত্তার কড়াকড়িতে এবারের বাংলা বর্ষবরণ উৎসব অনেকটাই ম্লান। রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ও চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রায় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাণের ছোঁয়া কমতে শুরু করে। নিরাপত্তার কড়াকড়িতে বিশেষ করে ব্যাগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকতে না দেওয়ায় বিরক্ত প্রকাশ করেছে উৎসবপ্রেমীরা।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় ঢাক-ঢোলের তালে নেচে-গেয়ে পূর্ণ আনন্দ উপভোগ করেছি। এরপর থেকে বর্ষবরণের আয়োজনগুলো ম্লান মনে হচ্ছে।- এবারের বর্ষবরণ উৎসব নিয়ে নিজের অনুভূতি এভাবেই জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে বেসরকারি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক মঈন।
স্ত্রী ও দুই ছোট বাচ্চাসহ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে এসেছিলেন বাদল খন্দকার। প্রতি বছরই তিনি আসেন বাঙালির প্রাণের এই উৎসবে। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার মানুষের উপস্থিতি ছিল অনেক কম। গত বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার পর চারুকলার ভেতরে দল বেধে ঢোল ও একতারা বাজিয়ে গানের আয়োজন চলেছিল। এরপর ছিল টিএসসিতে আড্ডা। কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
তিনি বলেন, এবার চারুকলার ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ফুটপাথে দোকান না থাকায় চারুকলা ও টিএসসি এলাকায় তরুণদের আড্ডা নেই। দলবেঁধে গোল হয়ে ঢোল পিটিয়ে নাচ নেই। কোথাও উৎসবের আমেজ নেই।
পরিবার, বন্ধু-স্বজন নিয়ে বৈশাখের উৎসব পালনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যারা এসেছেন সবাই নিরাপত্তার কড়াকড়িতে পড়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে গেলে বাংলামোটর মোড় থেকেই শুরু হয় পুলিশের তল্লাসি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সাধারণ মানুষের কাউকেই ব্যাগ নিয়ে উৎসবস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি ছোট ব্যাগ নিয়েও কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে সবার মাঝেই ছিল ক্ষোভ।
বৈশাখী উৎসব পালনে এসে সেঁজুতি মন্ডল বলেন, এভাবে উৎসব আয়োজনের দরকার কি ছিলো। ছোট ব্যাগ নিয়েও প্রবেশ করতে পারবো না। কোথাও দাঁড়িয়ে ৫ মিনিট বিশ্রাম নিতে পারবো না। দাঁড়ালেই পুলিশের বাঁশি।
তিনি বলেন, গত বছরের চেয়েও এবার মানুষের সমাগম কম।আগামীতে এভাবে নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি করলে আরও মানুষ কমে যাবে।
মন্তব্য চালু নেই