নিবন্ধন হারানোর পথে যেসব দল

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় নিবন্ধন হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে বিএনপিসহ ২১টি দল। সংবিধানের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ অনুচ্ছেদের ১ ধারার ই উপধারা অনুযায়ি পরপর দুটি সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। ফলে আগামী নির্বাচনে যদি ওই ২১ দল নির্বাচনে না যায় তাহলে তাদের নিবন্ধ বাতিল হয়ে যাবে। আর এ নিয়ে চলছে রাজনীতির ময়দানে আলোচনার ঝড়।

এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশনের ওপর অনাস্থা প্রাকশ করেছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। তারা সিইসিকে ‘প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের লোক’ আখ‌্যা দিয়ে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না- সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসছে। ফলে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণটা এখনো অনিশ্চিত। তাই তাদের নিবন্ধন নিয়ে রাজানীতির ময়দানে এত আলোচনা।

নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত ৩৯টি দলের মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলো আওয়ামী লীগ সমমনা ১২টি দল। বাঁকিগুলো নির্বাচনের বাহিরে ছিলো। এর মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, এনপিপি, ইসলামী ঐক‌্যজোট ও বাংলাদেশ ন‌্যাপ দেশের বিভিন্ন উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাদের নিবন্ধন স্থিতিশীল করে নেয়। ফলে বাঁকি ২১ দল এখনো শঙ্কায় রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচানে অংশগ্রহণ না করলে নিবন্ধন হারাতে হবে যেসব দলগুলোকে, তাহলো- বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, গণ ফোরাম, বাংলাদেশ কল‌্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, ঐক‌্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সাম‌্যবাদী দল (এম এল) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।

এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন এখনও অনেক দূরে। সামনে উপ নির্বাচন রয়েছে। তাতেও অনেকে অংশ নিতে পারবে। যা হবে তা আইনেই রয়েছে, ইসি আইন মেনেই কাজ করবে।’



মন্তব্য চালু নেই