আত্মঘাতী বোমায় নারীসহ ২ জঙ্গি নিহত

রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনায় জঙ্গিদের ভবনে অভিযানে এক নারীসহ ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারা আত্মঘাতী বোমায় নিহত হয়।

এর আগে শুক্রবার রাত ২টার দিকে আশকোনার ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুই শিশুসহ দুই নারী বেরিয়ে আসে ওই ভবন থেকে। সেখানে আরো তিনজনের অবস্থানের কথা জানায় পুলিশ।

এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভবনে ঢুকে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অভিযান শুরুর পর থেকেই ভবনের ভেতরে দফায় দফায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়।

পুলিশের অভিযানের আগে দুপুর ১২টা ২৪ মিনিটে ওই ভবন থেকে পর পর দুটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ইন্সপেক্টর শফি আহমেদ আহত হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে বোমা নিক্ষেপের পর ভবনে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ভেতরে থাকা এক জঙ্গি শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এ সময় গোলাগুলির শব্দও শোনা যায়। পরে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।

সকালে ঘটনাস্থল থেকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, চারজন আত্মসমর্পণের পরও তিনজন ভবনের ভেতর ছিল। তারা হলেন জঙ্গিনেতা তানভীর কাদেরীর ছেলে আবির, জঙ্গি ইকবালের সাত বছরের মেয়ে ও পলাতক জঙ্গি সুমনের স্ত্রী।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুমনের স্ত্রী নিচে নেমে এলে পুলিশ মনে করে সে আত্মসমর্পণ করবে। তবে সুমনের স্ত্রী আত্মসমর্পণ না করে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ও তার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে দেখা যায় সুমনের স্ত্রী মারা গেছে। বিস্ফোরণে ইকবালের মেয়ে আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তিনি আরো জানান, জঙ্গিদের কাছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক, গোলাবারুদ, রিভলবার ও আত্মঘাতী অস্ত্র রয়েছে।

শুক্রবার রাত ২টা থেকে দক্ষিণখানের আশকোনার তিনতলা বাড়ি সূর্যভিলায় অভিযানে যায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সেখানে রয়েছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাও। পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াটও যোগ দেয় এতে। ঘটনাস্থলে রাখা হয় একাধিক ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স।

ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান জানান, তিনতলা বাড়িটির নিচতলায় জঙ্গি আস্তানা। সেখানে সাতজন ছিলেন। যারা ভেতরে আছে তাদের বারবার আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চারজন আত্মসমর্পণ করে।

আত্মসমর্পণকারী চারজন হলেন মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি প্রাক্তন মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহার শীলা ও তার মেয়ে এবং পলাতক জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা ও তার ছেলে।

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, আত্মসমর্পণকারীদের কাছে একটি পিস্তল ও গুলি পাওয়া গেছে।



মন্তব্য চালু নেই