নাশকতার আরেক মামলায় রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সরকারবিরোধী আন্দোলনে নাশকতার আরও দুই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে মহানগর মুখ্য আদালতের হাকিম মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এই আদেশ দেন।
আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেসবাহ জানান, সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর খিলগাঁও ও মতিঝিল থানায় নাশকতার দুই মামলায় রিজভী জামিনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তার আদালতে হাজিরার দিন ছিল। কিন্তু তিনি হাজির হননি এবং তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন আইনজীবীরা। বিচারক সে আবেদন নাকচ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আন্দোলনে নাশকতার ঘটনায় রাজধানীর পল্লবী থানায় করা একটি মামলায় গত ২৫ জুলাই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে রিজভীর বিরুদ্ধে। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। সবশেষ গত ২৯ জুলাই তাকে প্রকাশ্যে দেখা গেছে। সেদিন বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর থেকে তার অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলছেন না। একেক সময় একেক কর্মকর্তা একেক কথা বলছেন। কেউ বলছেন রিজভী আহমেদ গ্রেপ্তার এড়াতে গুলশান কার্যালয়েই আছেন, আবার কেউ বলছেন তিনি কার্যালয় থেকে বের হয়ে গেছেন।
গত ১১ আগস্ট রাজধানীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংবাদ সম্মেলনেও রিজভীর অবস্থানের বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা। ফখরুলও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না দিয়ে বলেছেন, ‘ওনি (ফখরুল) গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলছেন।’
বিএনপির তথ্য অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি জামায়াত জোটের আন্দোলন এবং সরকারের এক বছর পূর্তিতে সরকার পতনের আন্দোলনে নাশকতার ঘটনায় অন্তত ৪৪টি মামলা রয়েছে রিজভীর বিরুদ্ধে। এসব মামলায় একাধিকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন মামলায় ১০ মাস কারাভোগের পর ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর মুক্তি পান বিএনপির সে সময়ের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী।
রিজভীর অভিযোগ, রাজনীতি থেকে তাকে সরিয়ে দিতে সরকার হয়রানিমূলক মামলা করেছে। তবে পুলিশ বলছে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই মামলা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই