‘নাশকতাকারীদের গুলি করে হত্যার পক্ষে জনগণ’

ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও যুক্তরাষ্ট্রের মত বাংলাদেশের জনগণ নাশকতাকারীদের গুলি করে হত্যা করার পক্ষে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি বলেন। বিএনপির অবরোধ ও নাশকতার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদ ওই সভার আয়োজন করে। বিএনপির দোয়া দিবসে কর্মসূচীতে ধাওয়া করার জন্যও এ সময় দলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।

হাছান মাহমুদ বলেন, ফ্রান্সে যারা পত্রিকা অফিসে হামলা করেছে তাদের গুলি করে হত্যা কারা হয়েছে। বেলজিয়ামে হামলাকারিদের হত্যা করা হয়েছে। আমেরিকার বোস্টনেও হামলাকারিদের হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষও চায় নাশকতাকারীদের গুলি করে হত্যা করা হোক। জনগণ এই হামলাকারীদের প্রাণভরে ঘৃণা করছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা সাবধান হোন। পেট্রোল বোমায় আহতদের পক্ষে কথা না বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে যাদের গুলি করা হচ্ছে তাদের পক্ষে বিবৃতি দেয়া থেকে বিরত থাকুন। এই ধরনের বিবৃতি দিয়ে গণশত্রুতে পরিণত হবেন না।

নাশকতায় নিহতদের জন্য বিএনপির দোয়া দিবসকে ‘ভাওতাবাজি’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, খুনীরা যাদের খুন করেছে তাদের জন্য আবার দোয়া করবে। এর মাধ্যমে যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের আত্মীয় ও স্বজনদের ওরা অপমান করতে চায়। এ ধরনের ভাওবাজি শুধু বিএনপির পক্ষেই সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, আপনারা (জনগণ) ধাওয়া দেয়া শুরু করেছেন। এ ধরনের কর্মসূচী যারা পালন করে তাদেরকেও ধাওয়া দিতে হবে।

গত এক মাসের অবরোধে গাড়িতে পোড়া মানুষের বর্ণনা দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এটি কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের চিত্র নয়। এটা হল বাংলাদেশের চিত্র। কারণ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় যেতে হবে।

বিএনপির অবরোধকে পেট্রোল বোমা মারার কর্মসূচী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে হরতাল-অবরোধ মানে ছিল গাড়ী-ঘোড়া, দোকানপাট বন্ধ থাকবে, কিন্তু এখন বিএনপির তার মানে গাড়ী-ঘোড়া চলবে, দোকানপাট খুলবে, মাঝে মাঝে দুই একটি পেট্রোল বোমা মারা হবে।

সভায় মালেয়শিয়ায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মাহাথীর মোহাম্মদ আমলের উদাহরণ টেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, সংসদে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা গুরুত্বপূর্ণ।

নাশকতারোধে মালেয়শিয়াকে অনুসরণ করার কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, মালেয়শিয়ায় যখন রাষ্ট্রপতি মাহাথীর মোহাম্মদ ক্ষমতায় ছিলেন তখনও অনেক ধরনের বিশৃঙ্খলা ও নশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছিল। উন্নয়নের স্বার্থে তিনি (মাহাথীর মোহাম্মদ) তা কঠোর হস্তে দমন করেন। কিন্তু তখন সেটি মালেয়শিয়ার সংবাদ মাধ্যমে কিছু এসেছে, কিছু আসেনি। কিন্তু বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন হওয়ায় আমরা সব কিছু জানতে পারছি।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল হক আলো প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই