নূরে নিশীতা মিতু

নারীর অধিকার

” পৃথিবীর যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর। অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর” – জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার এই চরণ দুটি ই যথেষ্ট নারীর প্রয়োজনীয়তা সঠিক ভাবে বুঝানোর জন্য। আসলেই নারী ছাড়া সমাজ কল্পনা করা যায়না। নারী শব্দটির সাথে জড়িয়ে আছে যে শব্দটি তা হল “নারীর অধিকার”। নারীর অধিকার বলতে বুঝানো হয় সমাজ, পরিবার বা রাষ্ট্র থেকে একজন নারীর প্রাপ্য বিষয়বস্তু। দুঃখজনক হলেও এ কথা সত্য যে আমাদের সমাজের নারীদের বেশ বড় সংখ্যা ই বঞ্চিত নারী অধিকার থেকে। পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থা, ধর্মিয় গোঁড়ামি, আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা ইত্যাদি ই যার মূল কারন। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে নারী অধিকার রক্ষায় গৃহিত হয়েছে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও)। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এ সনদ স্বাক্ষরও করে। এটি একটি আন্তর্জাতক দলিল ও প্রতিশ্রুতি। কিন্তু আমাদের দেশে এর বাস্তবায়ন এখনো সুদূর পরাহত। যদিও আইন ও বিধির কমতি নেই। কমতি কেবল বাস্তবায়নে। সিডও অনুযায়ী প্রতিটি রাষ্ট্র তার রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে নারী বান্ধব উন্নয়ন নীতি ও আইন প্রণয়ন করার জন্য বদ্ধ পরিকর। আইনানুযায়ীই রাষ্ট্রের সকল কর্মকান্ডে নারীর ক্ষমতায়ন এখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আইন ও সংবিধানের মাধ্যমে প্রয়োজন সেই অধিকারকে রক্ষা করা।নারীর অধিকারঃ নূরে নিশীতা মিতু ” পৃথিবীর যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর। অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর” – জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার এই চরণ দুটি ই যথেষ্ট নারীর প্রয়োজনীয়তা সঠিক ভাবে বুঝানোর জন্য। আসলেই নারী ছাড়া সমাজ কল্পনা করা যায়না। নারী শব্দটির সাথে জড়িয়ে আছে যে শব্দটি তা হল “নারীর অধিকার”। নারীর অধিকার বলতে বুঝানো হয় সমাজ, পরিবার বা রাষ্ট্র থেকে একজন নারীর প্রাপ্য বিষয়বস্তু। দুঃখজনক হলেও এ কথা সত্য যে আমাদের সমাজের নারীদের বেশ বড় সংখ্যা ই বঞ্চিত নারী অধিকার থেকে। পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থা, ধর্মিয় গোঁড়ামি, আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা ইত্যাদি ই যার মূল কারন। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে নারী অধিকার রক্ষায় গৃহিত হয়েছে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও)। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এ সনদ স্বাক্ষরও করে। এটি একটি আন্তর্জাতক দলিল ও প্রতিশ্রুতি। কিন্তু আমাদের দেশে এর বাস্তবায়ন এখনো সুদূর পরাহত। যদিও আইন ও বিধির কমতি নেই। কমতি কেবল বাস্তবায়নে। সিডও অনুযায়ী প্রতিটি রাষ্ট্র তার রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে নারী বান্ধব উন্নয়ন নীতি ও আইন প্রণয়ন করার জন্য বদ্ধ পরিকর। আইনানুযায়ীই রাষ্ট্রের সকল কর্মকান্ডে নারীর ক্ষমতায়ন এখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আইন ও সংবিধানের মাধ্যমে প্রয়োজন সেই অধিকারকে রক্ষা করা। আমাদের সংবিধানের ২৭ ধারায় বলা আছে, “সব নাগরিক সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। আইনের আশ্রয় লাভের ক্ষেত্রে সব নাগরিকেরই সমান সুযোগ ও অধিকার থাকবে। সেখানে রাষ্ট্র নারী পুরুষের ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য রাখবে না”। যদিও এসব ধারা কেবল সংবিধানেই সজ্জিত রয়েছে। এর প্রয়োগ দেখা যায় নাম মাত্র! যৌতুকের জন্য এখন ও প্রাণ হারাতে হয় অনেক নারীকে। প্রতিদিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হয় হাজার হাজার নারী। ইসলামের দোহাই দিয়ে অনেক নারীকেই তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। অথচ, ইসলামে নারী ও পুরুষকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমান মর্যাদা দেয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্র ছাড়া ইসলামে সকল মানুষের অধিকারই সমান। নারী পুরুষের সমতা কেবল উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী মনে হয়। এর পেছনে সামাজিক, বৈজ্ঞানিক বহু কারণ এবং যুক্তি রয়েছে। ইসলামে নারীকে সম্মানিত করা হয়েছে। রাসূলের একটি হাদিসে এসেছে, নারীকে সম্মান করার পরিমাপের ওপর ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদার বিষয়টি নির্ভর করে। তার মানে হলো একজন পুরুষ নারীকে কতোটা সম্মান দিল তার ওপর নিজের সম্মান নির্ভরশীল। অথচ, নারীরা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের অধিকার থেকে। ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ থেকে শুরু করে রাস্তা ঘাটে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের সবসময়। আমাদের উচিৎ নারীর অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া। নারী অধিকারের আইনগুলোর যথাযথা ব্যাবহার করা এবং অবশ্যই স্নারী পুরুশ মিলিত রূপে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা। আমাদের সংবিধানের ২৭ ধারায় বলা আছে, “সব নাগরিক সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। আইনের আশ্রয় লাভের ক্ষেত্রে সব নাগরিকেরই সমান সুযোগ ও অধিকার থাকবে। সেখানে রাষ্ট্র নারী পুরুষের ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য রাখবে না”। যদিও এসব ধারা কেবল সংবিধানেই সজ্জিত রয়েছে। এর প্রয়োগ দেখা যায় নাম মাত্র! যৌতুকের জন্য এখন ও প্রাণ হারাতে হয় অনেক নারীকে। প্রতিদিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হয় হাজার হাজার নারী। ইসলামের দোহাই দিয়ে অনেক নারীকেই তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। অথচ, ইসলামে নারী ও পুরুষকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমান মর্যাদা দেয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্র ছাড়া ইসলামে সকল মানুষের অধিকারই সমান। নারী পুরুষের সমতা কেবল উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী মনে হয়। এর পেছনে সামাজিক, বৈজ্ঞানিক বহু কারণ এবং যুক্তি রয়েছে। ইসলামে নারীকে সম্মানিত করা হয়েছে। রাসূলের একটি হাদিসে এসেছে, নারীকে সম্মান করার পরিমাপের ওপর ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদার বিষয়টি নির্ভর করে। তার মানে হলো একজন পুরুষ নারীকে কতোটা সম্মান দিল তার ওপর নিজের সম্মান নির্ভরশীল। অথচ, নারীরা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের অধিকার থেকে। ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ থেকে শুরু করে রাস্তা ঘাটে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের সবসময়। আমাদের উচিৎ নারীর অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া। নারী অধিকারের আইনগুলোর যথাযথা ব্যাবহার করা এবং অবশ্যই স্নারী পুরুশ মিলিত রূপে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা।



মন্তব্য চালু নেই