নভেম্বরের শেষে নতুন পে-স্কেলের প্রজ্ঞাপন

মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত অষ্টম বেতন কাঠামোর (পে-স্কেল)গেজেট নভেম্বরের শুরুতে প্রকাশের পর কার্যকর করার কথা ছিল। কিস্তু তা এখনো করতে পারেনি অর্থ মন্ত্রণালয়।

আগামীকাল রোববার বেতনবৈষম্য নিরসন-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পরে গেজেট প্রকাশের বিষয়টি চুড়ান্ত হতে পারে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বরের শেষ দিকে এই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নতুন কাঠামোয় বেতন পাবেন।

তবে প্রজ্ঞাপন যখনই প্রকাশিত না কেন, গত জুলাই থেকে নতুন বেতন কাঠামো কার‌্যকর হবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে আছে।

বেতন কাঠামো মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়ার পরও প্রজ্ঞাপন প্রকাশে বিলম্বের কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। অন্যদিকে প্রশাসনে কর্মচারীরা টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। আন্দোলনে আছেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৃচিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

অষ্টম বেতন কাঠামো নিয়ে ক্ষুব্ধ স্বয়ং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতও। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মতামতের জন্য পাঠানো বেতন কাঠামোসংক্রান্ত নথি ফেরত চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

গত ৭ সেপ্টেম্বর এই বেতন কাঠামো অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। নতুন বেতন কাঠামোতে নিজেদের অবমূল্যায়নের অভিযোগে আন্দোলনে নামেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে অন্যান্য ক্যাডারের বেতনবৈষম্যের অভিযোগ তুলে প্রকৃচিসহ অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারাও মাঠে নেমেছেন।

বেতনবৈষম্য দূরীকরণ বিষয়ে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি ইতিমধ্যে পুনর্গঠন করা হয়েছে। কাল রোববার কমিটি বৈঠকে বসছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব জানান, মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোর প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করতে দেরি হচ্ছে। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রীর বিদেশ সফরের বিষয়টিও একটি কারণ।

তবে অর্থ বিভাগের সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, আগামীকাল কমিটির বৈঠকের সঙ্গে প্রজ্ঞাপনের কোনো সম্পর্ক নেই। নভেম্বরের শেষে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

মাহবুব আহমেদ বলেন, যদি মন্ত্রণালয় কাজ করতে না পারে সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বর মাসে গেজেট প্রকাশ করা হবে। আর সে ক্ষেত্রে নতুন বেতন হবে জানুয়ারিতে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এতে সর্বোচ্চ বেতন ৭৮ হাজার টাকা (নির্ধারিত) ও সর্বনিম্ন আট হাজার ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের মতো ২০টি গ্রেড বহাল রাখা হলেও টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দেয়া হয়েছে এতে।

নতুন বেতন কাঠামোয় বিলুপ্ত করা হয়েছে শ্রেণীপ্রথা। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন গ্রেড দিয়ে পরিচিত হবেন। চতুর্থ শ্রেণীর একজন কর্মচারী ২০ গ্রেডের কর্মচারী হিসেবে পরিচিত হবেন।

নতুন বেতন কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ‘বাংলা নববর্ষ ভাতা’। মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে এই ভাতা পাবেন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ঢাকাটাইমস



মন্তব্য চালু নেই