নতুন পে স্কেলে ৬ মাস পরে অন্তর্ভুক্তির খবরে হতাশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা

নতুন জাতীয় বেতন স্কেলে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের ৬ মাস পরে অন্তর্ভুক্তির খবরে হতাশ হয়ে পড়েছে শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর আগে বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত হলেও এই প্রথম শিক্ষকদের সাথে বৈষম্যের খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক অধ্যক্ষ (অব.) ইউনুস আলী।

লিখিত বক্তব্যে সারাদেশের শিক্ষকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, আগামী সোমবার মন্ত্রিসভায় নতুন জাতীয় পে স্কেল অনুমোদন হবে। একই সাথে ওই খবরে প্রস্তাবিত পে স্কেলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ৬ মাস পরে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশের কথাও উঠে এসেছে। এতে হতাশ হয়েছে সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

তিনি আরো বলেন, এর আগে ১৯৯১, ১৯৯৭, ২০০৫ ও ২০০৯ সালের নতুন জাতীয় পে স্কেলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এই প্রথম আমরা বৈষম্যের শিকার হতে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। সংবাদ সম্মেলনে একই দাবিতে ১ আগস্ট মানববন্ধন, মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট সাতক্ষীরা জেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, জেলা বাকশিসের সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি, অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক, অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, অধ্যক্ষ আবু সাইদ, অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান, অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস, রেজাউল করিম, হোসেন আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউদ্দিন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই