নতুন টাকার হাট

ঈদ! চাই নতুন টাকা। নতুন টাকা ছাড়া ঈদ সালামী, বকশিশ বা ঈদী কোনটিই যেন পূর্ণতা পায়না। নতুন টাকার গন্ধই যেন অন্যরকম। কিন্তু নতুন টাকা পাওয়া খুব একটা সহজলভ্য নয়। ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে রয়েছে লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার বিড়ম্বনা।

তবে সামান্য অর্থের বিনিময়ে খুলনার ফুটপাতেও মিলছে নতুন টাকা। সে ‘নতুন টাকার হাট’ এখন জমজমাট।

ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনায় ২২৭ কোটি টাকার নতুন নোট এসেছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ টাকা বিনিময় শুরু হয়েছে। যা চলবে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। গ্রাহক এবং ব্যাংক পর্যায়ে এ টাকা বিনিময় করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে স্টক (মজুদ) শেষ হওয়ায় এবার ঈদে গ্রাহকরা ২ ও ৫ টাকার নতুন নোট পাচ্ছেন না।

দেখা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনার বিপরীত দিকে বিটিসিএল অফিস লাগোয়া ফুটপাতে নির্দিষ্ট হারের অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে ২, ৫, ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট। ব্যাংকের বিড়ম্বনা এড়াতে গ্রাহকরা ফুটপাত থেকেই সংগ্রহ করছেন নতুন টাকা। ছেঁড়া-কাটা টাকাও বদল হচ্ছে এখানে।

ফুটপাতে ৩০/৩৫ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন। ঈদের সময় গড়ে প্রতিদিন তারা আনুমানিক ২ লাখ টাকার লেনদেন করছেন।

নতুন টাকা ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান জনি বলেন, ঈদের সময় গড়ে প্রতিদিন তারা আনুমানিক ২ লাখ টাকার লেনদেন করতে পারেন। ১০০ টাকার নতুন নোটের একটি বান্ডিল তারা ৩০/৪০ টাকার বিনিময়ে পরিবর্তন করে দেন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদের ব্যবসা চলে।

খুলনার-যশোর অঞ্চলের ভ্রাম্যমাণ টাকা ব্যবসায়ী মো. ফারুক হোসেন বলেন, তারা টাকার ব্যবসা করেন বলেই ব্যাংক থেকে তাদের নতুন টাকা দিতে চায়না, দালাল বলে। এ কারণে বিভিন্ন লোককে লাইনে দাঁড় করিয়ে কৌশলে নতুন টাকা সংগ্রহ করতে হয়। প্রতি এক হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ১০/১৫ টাকা লাভ হয়।



মন্তব্য চালু নেই