নজরদারিতে নাফ থেকে সেন্টমার্টিন

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় বিদেশি ট্রলারের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধের লক্ষ্যে নাফ নদীর মোহনা থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত বিশেষ নজরদারী বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও কোস্ট গার্ডের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক।

বাংলাদেশের জলসীমায় সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনয়নের লক্ষ্যে বিদেশি ফিশিং ট্রলারের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধের বিষয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের সভাপতিত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ছায়েদুল হক বলেন, ‘দেশীয় ফিশিং ট্রলারের অতিরিক্ত মৎস্য আহরণ ও বিদেশি ট্রলারের অবৈধ অনুপ্রবেশ আমাদের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের জন্য একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যা এখনই মোকাবেলা করতে না পারলে অচিরেই মাছের সঙ্কট দেখা যাবে। এ জন্য ইতোমধ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী ১১৮টি বটম ওয়াটার ফিশিং ট্রলারকে মিড ওয়াটার ট্রলারে রূপান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু দেশের পূর্বাঞ্চলে মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের ফিশিং ট্রলার অনুপ্রবেশের ঘটনা বেশি ঘটছে তাই এ এলাকায় ২৪ ঘণ্টা নৌ-বাহিনী ও কোস্ট গার্ডের কন্টিনজেন্ট উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও কর্ণফুলী নদীতেও সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের পরিদর্শকের সহায়তায় কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।’

বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় জোরদার করার লক্ষ্যে সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী প্রতি ৪ মাসে ধারাবাহিকভাবে স্ব স্ব দপ্তরে সমন্বয় সভার আয়োজন করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. শেলীনা আফরোজা, নৌ-বাহিনীর রিয়ার এডমিরাল কেএস হোসেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল এম মকবুল হোসেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. ফিরোজ আলম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরিফ আজাদসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই