নওগাঁর শালবনে জ্যান্ত শিয়ালকে গিলে ফেলল অজগর
নওগাঁর ধামইরহাটের শালবনে অবমুক্ত করা অজগর জ্যান্ত এক শিয়ালকে গিলে ফেলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বনের অসংখ্য শিয়ালের ভয়ার্ত চিৎকারে ছুটে আসা শত শত মানুষের সামনেই অজগরটি খেয়ে ফেলেছে বড়সর আকারের ওই শিয়ালটিকে। রোববার রাতে উপজেলার জাতীয় উদ্যানে আলতাদিঘীর শালবনে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, গভীর রাতে হঠাৎ করেই বনের মধ্যে শত-শত শেয়াল একত্রিত হয়ে চিৎকার শুরু করে। শেয়ালের ভয়ার্ত চিৎকার শুনে এলাকাবাসী লাঠি-সোটা ও টর্চ-লাইট নিয়ে ছুটে যায় শালবনে। তারা দেখতে পান সম্প্রতি অবমুক্ত করা অজগরটি একটি শিয়ালকে পেঁচিয়ে ধরেছে। শত শত এলাকাবাসী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে জ্যান্ত শিয়ালকে গিলে ফেলার ঘটনা।
লোকজনের উপস্থিতিতে ভয়ার্ত শিয়ালগুলো পালিয়ে গেলেও আক্রান্ত শিয়াল এক পর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে আসে।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানায়, শালবনে হিংস্র বন্যপ্রাণি অবমুক্ত করার পর থেকেই তারা আতঙ্কিত ছিলেন। রাতে ক্ষুধার্ত অজগরের শেয়াল শিকারের দৃশ্য দেখার পর থেকে সর্বত্র আরো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বনের পাশের আদিবাসী পাড়ার হোসেন আলী, নরেন উড়াও ও মনিকা কুমারী জানান, আলতাদীঘি-শালবনের চারপাশে অন্তত ৫ শতাধিক পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাস করে। এসব পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বনের হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের আশঙ্কায় রয়েছেন।
ধামইরহাট উপজেলা বনবিট অফিসার লক্ষণ চন্দ্র ভৌমিক জানান, আলতাদীঘি শালবনকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণার পর সেখানে বন্যপ্রাণি ও জীব বৈচিত্র পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। এরই অংশ হিসেবে মাস চারেক আগে অজগরটি সেখানে অবমুক্ত করা হয়।
বনের হিংস্র প্রাণি যাতে মানুষের কোনো ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য পাহারাদা নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান বনবিট কর্মকর্তা।
মন্তব্য চালু নেই