নওগাঁর রাণীনগর-আত্রাই সড়ক খানা-খন্দে ভরা ॥ দূর্ভোগের কবলে যাত্রী সাধারণ

নওগাঁর রাণীনগর-আত্রাই উপজেলাবাসীর একমাত্র আঞ্চলিক সড়কটি দীর্ঘসময় ধরে সংস্কার না করায় সড়কের পুরোটাই বর্তমানে ছোট-বড় খানা-খন্দকে ভরা। প্রতিনিয়ত যাত্রী সাধারণের যানবাহনসহ চলাচলে চরম ভোগান্তির কবলে পরতে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দ্বিগুন টাকা ও সময় ব্যয় করে দূর্ঘটনার অজানা আতংক মাথায় নিয়ে এই সড়কের প্রধান বাহন সিএনজি, ম্যাজিক ও নছিমন নামক পরিবহনে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের নিদিষ্ট গন্তব্যে।

জানা গেছে, নওগাঁ জেলাসহ দেশের অন্যান্য জেলার সঙ্গে যোগাযোগের রাণীনগর-আত্রাই উপজেলা বাসীর প্রায় ২৯ কিঃমিঃ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বর্তমানে এই প্রধান সড়কের পুরো রাস্তার পাকা বিটমিন খোয়া উঠে যাওয়ায় যানবাহণ চলাচলের জন্য বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খানা-খন্দকে ভরা এই সড়ক দিয়েই চলাচল করছে হাজার হাজার যাত্রীসহ মালবাহী ট্রাক। রাণীনগর-আত্রাই এই দুই উপজেলা ধান-চালের জন্য বিখ্যাত হওয়াই এই অঞ্চলে প্রতিনিয়তই বড় বড় যানবাহন চলাচল করে।

এই এলাকার ব্যবসায়ীদের ধান-চাল জেলাসদর সহ দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠাতে গিয়ে ট্রাক মালিকরা সড়কটি খারাপের দোহায় দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ার দাবী করে। ব্যবসা সচল রাখার স্বার্থে বেশি ভাড়া দিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মালামাল পাঠাতে বাধ্য হয়। ফলে বেশি ভাড়ার কারণে ব্যবসায়ীদের লোকসানের ঘানি টানতে হচ্ছে। নওগাঁ থেকে রাণীনগর-আত্রাই উপজেলার প্রায় ২৯ কিঃমিঃ পাকা সড়কটি খানা-খন্দকের কারণে চলন্ত বাস যেখানে সেখানে বিকল হওয়ায় নওগাঁ জেলা বাস মালিক গ্র“প ইতিমধ্যে তাদের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

সড়কটি পাকা করণের সময় যথাযথ তদারকির অভাবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কিছু দিন পরেই পাকাগুলো উঠে যাওয়ায় সড়কটি বিপদজনক অবস্থায় পরিণত হয়েছে বলে এলাকাবাসী দাবী করেন। পুরো পাকা রাস্তার যত্রতত্র কার্পেটিং উঠে গিয়ে বৃষ্টির পানি জমে গর্ত তৈরি হয়েছে। জেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র পথ হওয়াই হাজার-হাজার যাত্রী দুর্ভোগ উপেক্ষা করে যাতায়াত করতে বাধ্য হয়। অচিরেই এই দুর্ভোগ হতে উত্তোরণ পেতে চান এই দুই উপজেলাবাসী।

এই বিষয়ে নওগাঁর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আলীম খাঁন বলেন, ইতোমধ্যেই প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তার রিপিয়ারিং শেষের পর্যায়ে। বাকি বড় বড় গর্তগুলো আমাদের নিজেস্ব ব্যবস্থাপনায় কাজ শুরু করবো। তবে আগামী অর্থ বছরে ২৯ কিলো মিটারের মধ্যে বেশি অংশই নতুন ভাবে টেন্ডার করা হবে বলে তিনি জানান।



মন্তব্য চালু নেই