নওগাঁর রাণীনগরে গৃহবধূ ধর্ষিত

নওগাঁর রাণীনগরে গৃহবুধ ধর্ষনের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ১২ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাণীনগর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে আসামীরা টের পেয়ে আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শরিয়া পশ্চিম-পাড়া গ্রামের (১৮) গত ৬ এপ্রিল সকাল অনুমান ৮ টায় তার স্বামীর বাড়ি বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভর-তেঁতোলিয়া গ্রাম (তার শশুর বাড়ি) থেকে বাবা-মাকে দেখার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে সকাল অনুমান ১০ টায় রাণীনগর উপজেলার শরিয়া গ্রামের শলাবিলের কালীভিটা নামক স্থানে পৌছালে আসামী শরিয়া গ্রামের শহিদুলের ছেলে সেলিম (৩০) ও একই গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে মান্নান (২৮) ঝড়ে পড়ে থাকা গাছ কাটা অবস্থায় তাকে দেখা মাত্রই আসামি সেলিম পিছন দিক থেকে সুখী বেগম কে ঝাপটে ধরে মাটিতে শুয়ে ফেলে।

এসময় তিনি চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসামী মান্নান ধারালো দেশীয় অস্ত্র গলায় ধরে প্রাননাশের হুমকি দিতে থাকে এবং তার সহযোগিতায় আসামী সেলিম পড়নের কাপড়-চোপড় টেনে ছিড়ে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে।

ঘটনাটি স্থাণীয় ভাবে মিমাংসার জন্য গ্রাম্য মাতব্বররা শরিয়া মাদ্রাসায় শালিসি বৈঠক করলেও ধর্ষকগং উপস্থিত না থাকায় শান্তিপূর্ন সমাধান হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার রাতে রাণীনগর থানায় ১২জনকে আসামী করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষিতা সুখী বেগম বাদি হয়ে ধর্ষন মামলা দায়ের করে। মামলা নং-০৫, ০৯/০৪/১৫ইং।

এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাণীনগর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, ধর্ষনের ঘটনাটি সত্য। মামলার দ্বায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আসামীরা বাড়িতে বা এলাকায় না থাকায় তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই