ধানের বাম্পার ফলন লবনাক্ত সহিষ্ণু ধানের উপর ইরি ও টিএমএসএস’র কৃষক মাঠ দিবস

জেলার তিনটি উপজেলায় দেবহাটা, আশাশুনি ও শ্যামনগরে আমন মৌসুমে জলাবদ্ধতা এবং বোরো মৌসুমে লবনাক্ততাই প্রধান সমস্যা। সাতক্ষীরা জেলাতে মোট ১,৫৩,১১০ হেক্টর জমি বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ততার আওতায় পড়েছে যা মোট জমির ৬৭%। এই সমস্যা খাপ খাওয়াতে এ বছর ইউএসএআইডি (টঝঅওউ) এর অর্থায়নে সিসা-বিডি (ঈঝওঝঅ-ইউ) প্রকল্পের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্র (ওজজও) বাস্তবায়নে ঞগঝঝ এর সহযোগিতায় লবণ সহিষ্ণু জাত কৃষকদের মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে প্রসারের জন্য কাজ করছে।

কৃষকদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য সাতীরা জেলার দেবহাটা, আশাশুনি ও শ্যামনগরসহ তিনটি উপজেলায় টিএমএসএস এর সহযোগিতায় মোট ১.০৯৩ হেক্টর জমিতে ১৮ টি পরীন প্রদর্শনী করা হয়। এসব পরীন প্রদর্শনীর কৃষককে ইউএসএইড (টঝঅওউ) এর অর্থায়নে এক দিনের ধান চাষের উপর প্রশিণ, উন্নত মানের বীজ, সার সরবরাহ ও ছয়টি জাতের গবেষণা প্রদর্শনী চষড়ঃ করা হয়।

উক্ত গবেষনা প্রদর্শনী চষড়ঃ এ ব্রি ধান২৮, ব্রি ধান৪৭, ব্রি ধান ৬১, বিনা ধান১০, এসএল-৮ ও ব্রি হাইব্রিড-২ এই ছয়টি জাতের চাষ করা হয়। উক্ত ছয়টি জাতের মধ্যে ব্রি ধান৪৭, ব্রি ধান৬১ ও বিনা ধান১০ ভালো ফলন হয়েছে। এই সকল উপজেলাতে পূর্বে কৃষকরা ব্রি ধাান২৮ চাষ করত এবং লবণাক্ততার কারণে মারা যায়। অনেক স্থানে কিছু কিছু ধান হলেও তার ফলন বিঘা প্রতি ৮-১০ মনের বেশি হতনা। কিছু এলাকায় হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করা হলেও সময় মত বীজ পাওয়া যেত না। হাইব্রিড জাতের ধান চাষে খরচ বেশী ও বিক্রি করে কৃষক তিগ্রস্ত হতো। চলতি বোরো মৌসুমে প্রদর্শনী এলাকাতে লবনাক্ততার মাত্রা ৭-৮ ডিএস যার জন্য ব্রি ধান২৮ মারা গেছে কিন্তু লবণ সহিষ্ণু জাত ব্রি ধান৪৭, ব্রি ধান৬১ ও বিনা ধান১০ ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা আশা করছে এ সব জমিতে বিঘা প্রতি ফলন ২০-২২ মন পাওয়া যাবে। এলাকাবাসি এ সব ধান বীজ হিসাবে সংরন করে আগামি মৌসুমে লবন সহিষ্ণু জাত ব্রি ধান৪৭, ব্রি ধান ৬১ ও বিনা ধান ১০ ব্যাপকভাবে চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর অংশ হিসাবে প্রদর্শনী কৃষকের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহের জন্য আগাম চাহিদা দিচ্ছে।

উল্লেখিত বিষয়ে ইউএসএইড অর্থায়নে সিসা-বিডি প্রকল্পের বা¯’বায়ন সহযোগি এনজিও টিএমএসএস এর মাধ্যমে গত ২৯ এপ্রিল আশাশুনি, ২৮ এপ্রিল শ্যামনগর ও ২৫ এপ্রিল ২০১৫ইং তারিখে দেবহাটা উপজেলায় কৃষক অংশিদারিত্বে লবন সহিষ্ণু বোরো ধানের জাত সমূহের উপর কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্টিত হয়। টি এম এস এস সমন্বয়কারী মো: আব্দুর রাজ্জাক এর সঞ্চালনায় উক্ত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, সাতক্ষীরা, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্ত কৃষিবিদ মো: নুরুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্ত কৃষিবিদ মো: মিজান মাহমুদ, দেবহাটা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, সিসা-বিডি প্রকল্পের ইরি সাতীরা জেলার এআরডিও কৃষিবিদ পলাশ চন্দ্র গোস্বামী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সহ ৫শ’৮৫ জন কৃষক/কৃষাণী উপহিস্থ ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই