ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে যে ৫ টি ভিটামিন

সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য এবং হৃদপিন্ডের কাজ ঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য ধমনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ধমনী হৃদপিণ্ড থেকে সারা শরীরে রক্ত সরবরাহ করে। ধমনী যদি ব্লক হয়ে যায় তাহলে সারা শরীরে সঠিক ভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারেনা এবং শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত হয়। ধমনী ব্লক হয়ে গেলে ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। যা পরবর্তীতে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। যে ভিটামিনগুলো রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে সেগুলোর বিষয়েই জেনে নিব আজ।

১। ভিটামিন সি

ভিটামিন সি এর স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রচুর, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতেও চমৎকার কাজ করে ভিটামিন সি। কোলাজেন উৎপাদনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি শুধু ত্বককেই সমর্থন করেনা বরং রক্ত নালীর উন্নতিতেও সাহায্য করে। ধমনীর প্লাক জমা প্রতিরোধ করে ভিটামিন সি। গাজর, ক্যাপসিকাম, আলু, অ্যাভোকাডো, মাশরুম এবং বেরি ফলে ভিটামিন সি থাকে।

২। ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি ধমনীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। শিরা ও ধমনীর স্থিতিস্থাপকতার জন্য উপকারী ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট। খুব কম খাবারেই ভিটামিন ডি থাকে। ফরটিফাইড মিল্ক, মাছ ও কমলার রসে ভিটামিন ডি থাকে। এছাড়াও কলিজা, ডিমের কুসুম, পনির, সয়া পণ্য, চিংড়ি, ফিস লিভার অয়েলে ভিটামিন ডি থাকে।

৩। ভিটামিন ই

গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই ধমনীর স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে এবং রক্ত নালীকে ঠিকভাবে কাজ করতে সহযোগিতা করে। লেগিউম, সবুজ শাকসবজি, মিষ্টি আলু, অ্যাভোকাডো, পেঁপে এবং ভেজিটেবল অয়েলে ভিটামিন ই থাকে।

৪। ভিটামিন বি ৩

ভিটামিন বি ৩ এর অন্য নাম হচ্ছে নায়াসিন যা ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান। উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে ভিটামিন বি । এথেরোস্ক্লেরোসিস এমন একটি সমস্যা যার ফলে ধমনীর প্রাচীর শক্ত হয়ে যায়। ভিটামিন বি ৩ এই সমস্যার নিরাময়ে সাহায্য করে ধমনীর প্রাচীরকে নমনীয় ও টেকসই করার মাধ্যমে। মাংস, মাছ, পিনাট বাটার, মাশরুম, আলু, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদিতে ভিটামিন বি ৩ থাকে।

৫। ভিটামিন কে

গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ধমনীর প্রাচীরের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। ধমনী শক্ত হয়ে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। ধমনীর ক্যালসিফিকেশন কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন কে যা কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ হওয়ার মূল কারণ। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, দুধ, মাখন, পনির, ডিমের কুসুম, গ্রিনটি, কলিজা ও জলপাই এ কে ভিটামিন থাকে।



মন্তব্য চালু নেই