আপনার এনার্জিকে উদ্দীপ্ত করুন ছোট্ট একটি কৌশলে

ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনে বিশ্বাস করা হয় যে, এনার্জি শরীরের মাঝ বরাবর এবং চারপাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়, এই পথটিকে মেরিডিয়ান বলে। এই শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পেলেই শরীরের অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারে। প্রতিটি মেরিডিয়ানই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সাথে মিলিত হয়।

মেরিডিয়ানগুলোতে প্রেশার পয়েন্ট থাকে। এই প্রেশার পয়েন্টগুলোতে ম্যাসাজ করলে আবদ্ধ শক্তি মুক্ত হয় এবং সংশ্লিষ্ট অঙ্গের টান বা পীড়ন দূর হয় এবং প্রাণবন্ত হয়। ঘাড়ের নির্দিষ্ট একটি স্থানে বরফ লাগালে আপনার মেজাজের উন্নতি ঘটবে এবং আপনার এনার্জি উদ্দীপিত হবে। খুব সহজে, খুব দ্রুত এবং নিরাপদে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে আপনার এনার্জি বৃদ্ধি করতে পারেন। এনার্জিকে উদ্দীপ্ত করার সহজ কৌশলটি জেনে নিই চলুন।

ঘাড়ের পেছনে, মাথার খুলির শেষ প্রান্তে এবং ঘাড়ের উপরের প্রান্তে টেন্ডন এর মাঝখানে ও চুলের সীমারেখার কাছাকাছি অংশে থাকে এই পয়েন্টটি। আকুপাংচারে এই পয়েন্টকে ফেং ফু বা উইন্ড ম্যানশন বলে। আকুপাংচারিস্টদের মতে সার্বিক ভালো থাকাকেই উদ্দীপিত করতে পারে এই পয়েন্টটি উদ্দীপিত হলে। একে উদ্দীপিত করতে যা প্রয়োজন তা হচ্ছে একটি আইস কিউব।

বসে অথবা শুয়ে এই ফেং ফু পয়েন্টের উপর একটি বরফের টুকরো রাখুন। বরফের টুকরোটি ২০ মিনিট সেখানে ধরে রাখুন। চারপাশে পানি গলে না পড়ে যাতে সেজন্য একটি কাপড় বা গজ বরফের চারপাশে দিয়ে রাখুন। প্রথমে ঠান্ডায় অস্বস্তি লাগতে পারে। কিন্তু ৩০-৬০ সেকেন্ডের মধ্যেই আপনি তাপের আন্তঃপ্রবাহ উপলব্ধি করতে পারবেন।

আপনি সকালে বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে রক্ত প্রবাহে এন্ডোরফিনের নিঃসরণ উদ্দীপিত হবে এবং এনার্জি সৃষ্টি হবে। চাইনিজ মেডিসিন এর মতে, এটি অনুশীলনের ফলে শারীরবৃত্তীয় ভারসাম্য বজায় থাকতে এবং পুনঃস্থাপিত হতে সাহায্য করবে। নিয়মিত ফেং ফু পয়েন্টকে সক্রিয় করতে পারলে –

  • ঘুমের উন্নতি হয়
  • পরিপাক তন্ত্রের উন্নতি হয়
  • ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর হয়
  • মাথা ব্যথা, দাঁত ব্যথা ও জয়েন্টের ব্যথা কমে
  • শ্বাসের উন্নতি ঘটায়
  • গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে
  • থাইরয়েডের সমস্যা ম্যানেজ করে
  • আরথ্রাইটিস দূর করতে সাহায্য করে
  • স্ট্রেস, ক্লান্তি ও ডিপ্রেশন কমায়

মনে রাখবেন যাদের পেসম্যাকার লাগানো আছে, প্রেগন্যান্ট নারীদের এবং সিজোফ্রেনিয়া বা মৃগী রোগীদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই