দেবের দ্বৈত রূপ !

টলিউডের বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক হল দেব ।টলিউডে সে লাভার বয় এবং চকলেট বয় নামেও পরিচিত।সিনেমার পর্দাতে যেমন দুটো রূপে তাকে দেখা যায়, তেমনি আবার বাস্তবেও তাকে দুটো রূপে দেখা যায়।দেবের কাছে এখন দ্বৈত পরিচয় একেবারে দুধভাত হয়ে গেছে। সবকিছুই তিনি সহজভাবে নিতে শিখে গেছেন।

তবে শুধু ছবি মুক্তির আগের রাতের ভয়টাই এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। দেবের কাছে এখনো সেটা পরীক্ষার আগের রাতের মতোই ভয়ংকর মনে হয়। গত বৃহস্পতিবার তেমন একটি রাত কাটালেন দেব। জানালেন, পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কড়া কড়া কথা বলতে এত ভয় লাগে না তাঁর, যতটা তাঁর ভয় হয় ছবি মুক্তির আগের রাতে। হিরোগিরি ছবি মুক্তির পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে এমন আরও কিছু কথা জানালেন দেব।

শুক্রবারে মুক্তি পেয়েছে দেব অভিনীত ছবি ‘হিরোগিরি’। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন কোয়েল মল্লিক আর সায়ন্তিকা। সঙ্গে আছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এরই মধ্যে ছবিটি হাসি ফুটিয়েছে দর্শকদের মুখে।খুশি দেব নিজেও।Dev-Adhikari-Pictures

তিনি বলেন, ‘ছবি মুক্তির আগে যতটা নার্ভাস ছিলাম, এখন ততটাই আনন্দিত। আসলে ছবি মুক্তির আগেই যদি বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে যাই, তাহলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।’

হিরোগিরি ছবির মতো বাস্তব জীবনেও দেবের দ্বৈত চরিত্র। ছবিতে তিনি দুজন নায়িকার সঙ্গে অভিনয় করেছেন আর বাস্তবে তিনি একদিকে নায়ক অন্যদিকে লোকসভার সদস্য।গত বছরই রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে সাংসদ হয়েছেন দেব।

দেব জানান, ‘১০ মাস হলো লোকসভার সদস্য হয়েছি। শুরুতে একটু চাপ অনুভব করেছি, এখন অনেকটা নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি। নায়ক দেব ও রাজনীতিবিদ দেব দুজনই এখন দুটি ভিন্ন সত্তা।

আমার এলাকা ঘাটালের মানুষ এখনো দেবের ছবি এলে তাকে হলে দেখতে যায়। আবার লোকসভার সদস্য দেব যখন ঘাটালে যায়, তখন সেখানকার মানুষ তাকে ঘরের ছেলে হিসেবেই গ্রহণ করে।’দেব জানালেন, রাজনীতি তাঁর দেখার দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলে দিয়েছে অনেক। বললেন, ‘আমি রাজনীতিকে অবসরের পরিকল্পনা হিসেবে নিতে চাইনি। তরুণ বয়সে নিজের উদ্যমকে আমি ঢেলে দিতে চাই রাজনীতিতে।

তাই রাজনীতি আর অভিনয়কে সমানতালে সামলে দুই পথ ধরেই এগিয়ে যেতে চান সামনে। কোনো পথে যদি পিছলে পড়েন? তাতে কী? এখনো দেব তরুণ। নিজেকে সামলে নেওয়ার এই তো বয়স। হিরোগিরির এই তো সময়।



মন্তব্য চালু নেই