দুর্নীতিতে এক ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

দুর্নীতিতে বাংলাদেশ একধাপ পিছিয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতি ধারণা সূচকে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। গতবার এই অবস্থান ছিল ১৪তম। আর ২০১৩ সালে ১৬তম এবং ২০১২ সালে ১৩তম স্থানে ছিল বাংলাদেশ।

বার্লিনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির ধারণা সূচক বা সিপিআই-২০১৫ (করাপশন পারসেপশনস ইনডেক্স) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে এ তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম. হাফিজউদ্দিন খান।

বিশ্বের ১৬৮টি দেশ ও অঞ্চলে ২০১৫ সালের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা এই সূচকে ২৫ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী (ভালো থেকে খারাপ) ১৩৯ নম্বরে। আর উল্টোভাবে হিসাব করলে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় এবার বাংলাদেশ রয়েছে ১৩তম স্থানে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয় ভুটানে। একমাত্র আফগানিস্তান ছাড়া এ অঞ্চলের সবগুলো দেশেই বাংলাদেশের তুলনায় কম দুর্নীতি হয়। এছাড়া বিশ্বে সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয় ডেনমার্কে আর বেশি হয় সোমালিয়ায়।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “স্কোর অপরিবর্তিত থাকলেও অবস্থান এক ধাপ কমেছে। বাংলাদেশের এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে সংসদ ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও কার্যকর করতে হবে।”

টিআইবি জানায়, দুর্নীতির এই সূচক তৈরিতে তারা কোনো ভূমিকা রাখে না, টিআইবির নিজস্ব গবেষণার তথ্যও সিপিআই-তে যায় না। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন ও জরিপ এবং ‘বিশেষজ্ঞ মতামতের’ ভিত্তিতে টিআই কেন্দ্রীয়ভাবে এ সূচক তৈরি করে।



মন্তব্য চালু নেই