দুর্ঘটনায় প্রেমিক-প্রেমিকা নিহত
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র মিরাজ হোসেন (২২) ও ছাত্রী শান্তা খাতুন (২০) নিহত হয়েছেন। তারা দুজনে একই মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের যশোর শহরতলীর পাঁচবাড়িয়া আমতলা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মিরাজ যশোর শহরতলীর বাহাদুরপুর গ্রামের মেহগনিতলা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। তিনি যশোর শহরের বেসরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠান মুসলিম এইড’র ছাত্র।
আর শান্তা ঝিনাইদহের বারোবাজারের মশিহাটি গ্রামের শহর আলীর মেয়ে। তিনি যশোর শহরের সরকারি সিটি কলেজের অনার্স বাংলা প্রথমবর্ষের ছাত্রী।
স্বজনরা জানিয়েছেন, তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক ছিলো। ভবিষ্যতে তাদের বিয়ে দেয়া হবে বলে পারিবারিকভাবে কথাবার্তা চূড়ান্ত ছিলো।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, মিরাজ ও শান্তা মোটরসাইকেলে যশোর-মাগুরা মহাসড়ক ধরে খাজুরার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে যশোর শহরতলীর পাঁচবাড়িয়া আমতলা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস তাদের চাপা দেয়। উপস্থিত লোকজন তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শান্তার মা আলেয়া বেগম আহাজারি করতে করতে বলেন, তার মেয়ে কলেজ যাওয়ার জন্য সকালে বাড়ি থেকে এসেছিলো। কলেজ থেকে ফেরার পথে বুধবার এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কেনাকেটাও করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তার আগেই ঘাতক বাস তার প্রাণ কেড়ে নিলো।
যশোর কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শারমিন জানান, মিরাজ ও শান্তা মোটরসাইকেলে খাজুরার দিকে গেলে যশোরমুখী একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। বাস চালক ও হেলপার পালাতক রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই