দুবাইয়ে দুই বাংলাদেশি তরুণীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগ

দুবাইয়ে বাংলাদেশি দুই তরুণীকে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে দুই বাংলাদেশি ও এক ভারতীয় নাগরিককে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি আদালত। উচ্চ-বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ১৮ বছর বয়সের নিচের ওই দুই তরুণীকে আমিরাতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল দণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশি।

দেশটির জাতীয় দৈনিক গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে বলছে, ১৮ বছরের নিচের ওই দুই বাংলাদেশি তরুণীকে আকর্ষণীয় বেতন-ভাতায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। দুবাইয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টে তাদের বয়স বাড়িয়ে দেয় প্রতারক চক্র। গত বছরের এপ্রিলে দুবাইয়ে পৌঁছার পর তাদেরকে নায়েফের একটি ফ্ল্যাটে তালাবদ্ধ করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।

বাংলাদেশি এক নারী, ২৬ বছর বয়সী এক পুরুষ ও ৪৬ বছর বয়সী এক ভারতীয় ব্যবসায়ী তাদের এক সহযোগীর মাধ্যমে ভূক্তভোগী দুই তরুণীকে দুবাইয়ে নিয়ে যায়। দুবাইয়ে পৌঁছার পর ওই দুই তরুণীর পাসপোর্ট কেড়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে বিমানবন্দর থেকে নায়েফের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় তারা।

ফ্ল্যাটে পতিতাবৃত্তি চালানোর অভিযোগে ওই দুই বাংলাদেশি ও ভারতীয়কে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে তিন বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন দুবাইয়ের আদালত। অর্থের বিনিময়ে ওই দুই তরুণীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় তিনজনের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে পৌঁছানোর জন্য পাসপোর্টে বয়স জালিয়াতি করতে ওই দুই তরুণীর কাছে থেকে ৬০০ দিরহাম নেয় প্রতারকরা। একই সঙ্গে তাদেরকে দুবাইয়ে এক হাজার ২০০ দিরহামে গৃহকর্মীর কাজ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখানো হয়।

ভারতীয় ওই ব্যবসায়ীর কাছে ১২ বোতল মদ পাওয়া যাওয়ায় ও বাংলাদেশি অভিযুক্ত পুরুষকে তার সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করায় তিন বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫২ হাজার দিরহাম জরিমানাও করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় অভিযুক্ত বাংলাদেশি পুরুষকে অতিরিক্ত দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সূত্র : গালফ নিউজ।



মন্তব্য চালু নেই