দু’বাংলার সংস্কৃতি বিনিময়ে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ প্রয়োজন

বাংলাদেশী সংস্কৃতির উচ্ছসিত প্রশংসা করে দু’বাংলার সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের জন্য বেশি করে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের প্রয়োজন বলে মনে করেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় দুই কণ্ঠশিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য্য ও শুভমিতা ব্যানার্জি।

শুক্রবার চট্টগ্রাম বিকেলে নগরীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের তারা একথা বলেন।

রোববার সন্ধ্যায় ৭টায় চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আনন্দ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের আয়োজনে গান পরিবেশন করেবন এই দুই শিল্পী। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে তারা চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

শ্রীকান্ড দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম আসলেও শুভমিতার এটি প্রথম সফর। আলাপচারিতায় তারা জানালেন, শ্রীকান্তের নানার বাড়ি বাংলাদেশের বিক্রমপুর আর শুভমিতার দাদার বাড়ি উত্তরবঙ্গের রাজশাহীতে। যে কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের রয়েছে রক্তের যোগসূত্র। গৌরবময় ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি ও কৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম ইতিহাসের একটি অধ্যায় বলেও মনে করেন এই দুই জনপ্রিয় শিল্পী।

তাইতো এই জনপদে আসার আকাঙ্খা তাদের দীর্ঘদিনের। ভৌগলিক অবকাঠামোর কারণে চট্টগ্রাম ঘুরের দেখা তাদের লালিত বাসনা। তাই চট্টগ্রামের আনন্দ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের আমন্ত্রণ পেয়েই তারা চট্টগ্রামে আসার সুযোগটি হাতছাড়া করেননি বলে জানান শুভমিতা।

বাংলাদেশের গান প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিশেষ করে কোলকাতা ও বাংলাদেশের গান ও সংস্কৃতির সাথে বড়ো কোন পার্থক্য নেই। বাংলাদেশে অসংখ্য গুনি শিল্পী রয়েছেন। বাংলাদেশের পাশাপাশি তারা ভারতে বেশ আলোচিত এবং প্রশংসিত। কিন্তু দুই দেশের সংস্কৃতির আদান-প্রদান, পরস্পরকে আরো বেশি জানা এবং বুঝার প্রয়োজনিয়তা রয়েছে। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো যাতে উপভোগ করতে পারে সেটা ভারতে মানুষের প্রত্যাশা। তবে এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি দরকার রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ।’

শ্রীকান্ত বলেন, ‘বাঙালি জাতিগতভাবে সংস্কৃতি প্রেমি। বিশ্বের যে কোন দেশে গিয়ে বাংলাদেশের শ্রোতাদের আবেগ আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। তাদের আথিতেয়তা ও আন্তরিকতা অন্যান্যদের চেয়ে আলাদা। শিল্পী হিসেবে তাদেরকে কাছে আমাদের জনপ্রিয়তা এটাই আমাদের প্রেরণার অনেক বড়ো শক্তি।



মন্তব্য চালু নেই