দুই মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে অর্ধশতাধিক ঘর বাড়ি লন্ডভন্ড ॥ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

পাবনার চাটমোহরে গতকাল সোমবার ভোর ৬টা ৫ মিনেটের দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে অর্ধশতাধিক আধাপাকা ঘর বাড়ি লিচু, আম, কাঁঠাল গাছ ভেঙে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের ভোর বেলায় ২ মিনিটের দমকা বাতাস ও কালবৈশাখী ঝড় বেয়ে যায় ঝড়ের কবলে পড়ে আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন। গুরুত্বর আহত বিলচলন ইউনিয়নের কুমার গ্রামের কালু হোসেন (৪৩) চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এতে ঐ এলাকার জালেশ্বর, রামচন্দ্রপুর, মন্ডলপাড়া, গুনাইগাছা, পাইকপাড়া, পৈলানপুর, নতুনপাড়া, মল্লিকচক, মন্ডতোষ, চকমইচাটসহ আশে-পাশে ১০টি গ্রামের আধাপাকা ঘর, কওমী মাদ্রাসা, লিচু, আম, কাঁঠাল, বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসলাদি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঝড়ে সময় বাহিরে কেউ বের হতে পারেনি। ঘরে মধ্যে মানুষ থাকলে উপরের দো-চালা টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। বোয়ালমারী কওয়ামী মাদ্রাসার টিনের ঘর ঝড়ে আছড়ে পড়েছে। জালেশ্বর গ্রামের আবু হোসেন, আব্দুল আলীম জানান, ঝড়ে সময় ঘরে বসে ছিলাম ছেলে-মেয়েদের নিয়ে, কিন্তু সব ভেঙে উড়ে যায়।

লিচু বাগান মালিক মিঠু হোসেন, জহুরুল ইসলাম, কাওছার আহম্মেদ, আবু তালেবসহ কয়েকজন জানান, ঝড়ে শতশত লিচু, আম ও কাঁঠাল গাছ ভেঙে গেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ বাগানে গাছ ভেঙে গেছে। বাগান মালিক ও ব্যাপারীরা মুখে হাত দিয়ে বসে আসেন। তারা ক্ষয়ক্ষতি বিবরণ কথা বলতেই কেঁদে ফেলেন।

এদিকে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলম, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম মওলাসহ সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমানটা বেশি হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই