দুই ফাঁসিতে উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ

দুই যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের খবরে সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে উল্লাস প্রকাশ করেছে মানুষ। রাজধানীতে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী জয়বাংলা স্লোগানে উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করেছে।

অপরদিকে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চে জড়ো হওয়া কর্মীরা এবং মুক্তিযোদ্ধারা এই ফাঁসিতে উল্লাস প্রকাশ করেছে।

শনিবার রাত পৌনে ১টায় কেন্দ্রীয় কারাগারে এই দুই যুদ্ধাপরাধীকে একসাথে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

রাত ১টায় ফাঁসি কার্যকরের খবর পৌঁছলে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। তারা স্লোগান দিতে থাকেন। অনেকে মিষ্টি বিতরণ করেন। কাউকে নেচে গেয়ে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। গণজাগরণ মঞ্চের কিছু কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে। ফাঁসি কার্যকরের খরব শুনে সেখানেও তারা উল্লাসে ফেটে পড়েন। শাহবাগ এলাকায় গণজাগরণ মঞ্চ একট আনন্দ মিছিল বের করে।

গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা ফাঁসি কার্যকর করায় বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। তাদের ফাঁসি কার্যকরের দাবিতে গত শুক্রবার দুপুর থেকে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগ চত্বরে অবস্থা নিয়েছিলেন।

এদিকে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারাও ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় উল্লাস প্রকাশ করেছেন। অনেকে একাত্তরে তাদের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে মৃত্যুদণ্ড দুই যুদ্ধাপরাধীর অপরাধের ভয়াবহতা তুলে ধরেন।

অপরদিকে চট্টগ্রামের রাউজানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ঘোষণা দিয়েছেন তারা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মরদেহ তারা সেখানে ঢুকতে দেবেন না। রাউজাল তার নির্বাচনী এলাকা। এখান থেকে তিনি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। সবমিলিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ছয় বার এমপি হয়েছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। সেখানে শনিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে আনন্দ মিছিল করছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া মুজাহিদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধারাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় ফরিদপুর কলঙ্কমুক্ত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।



মন্তব্য চালু নেই