দাউদকান্দিতে বেগম রোকেয়া দিবসে জয়ীতাদের কেস্ট ও সম্মাননা প্রদান

দাউদকান্দিতে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’-২০১৫’র উপজেলা পর্যায়ে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৫ জনকে কেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।

দাউদকান্দি উপজেলা মিলনায়তনে ৯ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা সুলতানার সভাপতিত্বে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ রোজিনা আক্তার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ শিবলী জামান, বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খোরশেদ আলম, উপজেলা মহিলালীগের সভাপতি মোসাঃ জেবুন নেছা জেবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দাউদকান্দি উপজেলা ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক কবি-কলামিস্ট আলী আশরাফ খান, ইছাপুর উদ্দিপনের এরিয়া ম্যানেজার আবু রায়হান, মোসাঃ নাসরিন আক্তার প্রমুখ।

উপজেলা পর্যায়ে ৫ ক্যাটাগরিতে ৫ জন নারীকে জয়ীতা হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। তারা হলেন,

(ক) অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারীঃ শংকরী রানী সাহা (৫০), স্বামী: মৃত হরিপদ সাহা, গ্রাম: সাহাপাড়া, ডাকঘর: দাউদকান্দি বাজার, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।

(খ) শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারীঃ আলতাফুন্নেসা (৬৯), স্বামী: এম. জাকারিয়া, গ্রাম: বারপাড়া, ডাকঘর: গৌরীপুর বাজার, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।

(গ) সফল জননী নারীঃ রওশন আরা বেগম (৬৩), স্বামী: মরহুম মোঃ আব্দুল হাই, গ্রাম: ভাগলপুর, ডাকঘর: চাঁদগাঁও মদিনা কমপ্লেক্স, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।

(ঘ) নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারীঃ
বেগম রেহেনা ইয়াছমিন (৫০), পিতা: মোঃ শহিদুল্লাহ, গ্রাম: চশই, ডাকঘর চশই, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।

(ঙ) সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারীঃ রূপজান বিবি (৫৫), স্বামী: আব্দুল কাদির, গ্রাম: নোয়াদ্দা, ডাকঘর: নৈয়াইর, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।

উপরোল্লেখিত ৫জন জয়ীতার মধ্যে যথাক্রমে শংকরী রানী সাহা, রওশন আরা বেগম ও বেগম রেহেনা ইয়াছমিন উপজেলা পর্যায়ে এবং আলতাফুন্নেসা ও রূপজান বিবিকে জেলা পর্যায়ে জয়ীতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তাদের প্রত্যেককে বেগম রোকেয়া পদক-’১৫ ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,‘ আমাদের জয়ীতারা প্রত্যেকে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত। তারা আমাদের সমাজের অনন্য দৃষ্টানÍ। আমরা বিশ্বাস করি, তাদের আলোয় সমাজ আরো আলোকিত হবে। তাদের দেখাদেখি অন্য নারীরাও সমাজের কল্যাণে নিজেদের নিবেদিত করবে’।



মন্তব্য চালু নেই