দক্ষ জনশক্তি আমদানির আগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকার’

বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রায় এক লাখ দক্ষ জনবল দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজ করছে। বাংলাদেশের মেধাবী জনবল দক্ষিণ আফ্রিকায় রফতানি করে উভয় দেশই লাভবান হতে পারে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশের সমবর্তী দায়িত্বে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকমিশনার জিওফ্রে কুইনটন ডয়িজ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠককালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে আমির হোসেন আমু দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সমর্থনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “দুই দেশের মুক্তি সংগ্রামের অনেক ক্ষেত্রে মিল রয়েছে।”

শিল্পখাতে অর্থবহ দ্বিপাক্ষিক সহায়তার জন্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের রফতানি বৃদ্ধিতে সহায়তার জন্য হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকমিশনার বিগত দুই বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ সহজেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারে।” তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য শিল্পমন্ত্রীর প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন।

হাইকমিশনার বলেন, “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানির পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বাড়াতে পারে।” এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে দুই দেশের মধ্যে কার্যকর অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বৈঠকে শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক সহায়তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় তৈরি পোশাকখাতে বাংলাদেশি বিনিয়োগ, বাংলাদেশ থেকে অধিক পরিমাণে তৈরি পোশাক আমদানিসহ অন্যান্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।

বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাসসহ শিল্প এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন



মন্তব্য চালু নেই