গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে আন্দোলন বানচাল করতে চায় সরকার: ফখরুল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রন করে অবৈধ সরকার বিএনপির আন্দোলনকে বানচাল করতে চায়।”

শুক্রবার বেলা ১১টা নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির আয়োজিত মেঘনাঘাট শিল্পনগরীর বালুর মাঠে ঈদপূর্নমিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “সরকার মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করে মানুষের অধিকার হরণ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছে।”

সম্প্রচার নীতিমালার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সম্প্রচার নীতিমালার নামে সরকার আইন করে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করে দিচ্ছে। তারা চুরি করবে, দুর্নীতি করবে, পদ্মা সেতু খাবে, র্যা ব দিয়ে মানুষ হত্যা করবে, আর কথা বলা যাবে না এটা হতে পারে না।”

তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করে সব পত্রিকা বন্ধ করে চারটি পত্রিকা তাদের হাতে রেখেছিল। এখনও তারা তাই করছে। সত্য কথা প্রকাশ করায় আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিগন্ত টেলিভিশন, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভিও বন্ধ করে দিয়েছে এ সরকার। এ অবৈধ সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে দিচ্ছে।”

তিনি বলেন, “দেশে গত ৫ জানুয়ারী তামাশার নির্বাচন করা হয়েছে। এ নির্বাচনে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত করা হয়েছে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে আওয়ামী লীগ সংবিধান পরিবর্তন করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছে।”

ফখরুল বলেন, “ভোট আমাদের মৌলিক অধিকার, এটা ফিরে পেতে সংগ্রাম ও লড়াই করতে হবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া লড়াই করছেন গণতন্ত্র ফিরে পেতে। এ জুলুমবাজ, ফ্যাসিবাদ সরকারকে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তিনি আন্দোলন কর্মসূচীর ঘোষণা করবেন।”

নেতাকর্মীদে উদ্দেশে ফখরুল বলেন, “গণতন্ত্র পূর্ণরুদ্ধার, মানুষের অধিকার আদায়, অবৈধ সরকারের হাত থেকে দেশকে ও দেশের মানুষকে মুক্ত করতে বিএনপির ডাকে আপনারা সাড়া দিয়ে আন্দোলন তীব্রতর করুন।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “নারায়ণগঞ্জে এ সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। র্যা বকে লেলিয়ে দিয়ে সেভেন মার্ডারের ঘটনা ঘটিয়েছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে হলে এ সরকারকে উৎখাত করতে হবে।”

তিনি সোনারগাঁওয়ের বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন হত্যার বিচার দাবি করেন। এ ছাড়া সদ্য প্রয়াত সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশিরউদ্দিন মোল্লার আত্মার রুহের শান্তি কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ- আইন বিষয়ক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, নারায়ণঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সভাপতি এমএ জামান প্রমুখ।

এসময় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে জাতীয়তাবাদী বাউল দলের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।



মন্তব্য চালু নেই