থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে পুলিশ

থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে নিরাপত্তার জোরদারের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মাদক বহন, উন্মুক্ত স্থানে প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণ বন্ধে সতর্কাবস্থানে পুলিশ। ইতোমধ্যে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ইংরেজি নববর্ষের থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে গত ২৮ ডিসেম্বর হতে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিন ঢাকা শহরে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ৩৫ জন গ্রেফতার ও বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য জব্দ করেছে ডিএমপির বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৭৬৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা, ৭৭৭ পিস ইনজেকশন, ২৫ বোতল বিদেশি ও ১২ বোতল দেশি মদ এবং ১৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

এর আগের দুদিনের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ৩২জন গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ২৪২৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৬৫০ গ্রাম ৩৩ পুরিয়া গাঁজা, ২৯৫ পিস ইনজেকশন, ১৩ বোতল ও ২০০ লিটার দেশি মদ এবং ১৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর সকল বার বন্ধ থাকবে।

ইংরেজি নববর্ষ ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বহন নিষিদ্ধ। মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো যাবে না। মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে।’

তবে কেউ নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করে নগরবাসীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ব্যাঘাত না ঘটিয়ে কোনো ক্লাব, আবাসিক ভবনের ভেতরে কিংবা ৫ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠান করতে চায় তবে করতে পারবে।

ডিএমপি জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর রাতে পটকাবাজি, আতশবাজি, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটর সাইকেল চালানোর মাধ্যমে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা বা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যরা সতর্কাবস্থানে থাকবেন। রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভারসহ উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান বা সমবেত নিষিদ্ধ।

গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার নাগরিকরা রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় ফিরবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত ব্যক্তি ও যানবাহন প্রবেশ বন্ধ থাকবে। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। গুলশান এলাকার জন্য কাকলী এবং আমতলী ক্রসিং উম্মুক্ত থাকবে। রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় অবস্থান নিষিদ্ধ থাকবে। রাত ৮টা হতে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত সব প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।



মন্তব্য চালু নেই