তীব্র যানজটে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ মেয়র আনিসুল

চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন-বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে রাজধানীর গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের কার্যালয় ঘেরাও করেছিল সংস্থাটির পরিচ্ছন্নকর্মীরা। এ ঘটনায় পুরো গুলশান এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তির মুখে পড়েছে অফিসগামী হাজারো মানুষ।

রবিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে তারা মেয়রের কার্যালয় ঘেরাও করে। এ সময় মেয়র আনিসুল হক তাঁর কার্যালয়ে ছিলেন। তিনি ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে পড়েন। দীর্ঘ ক্ষোভ- আর বিক্ষোভের পর দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়ার পর সাড়ে ১২টার দিকে ‘অবরুদ্ধ’ অবস্থা থেকে মুক্ত হন মেয়র আনিসুল।

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা মেয়র কার্যালয়ের সামনে পরিচ্ছন্নকর্মীদের অবস্থানের কারণে গুলশানসহ বনানী, উত্তরা, মহাখালী, বাড্ডা লিংক রোডের যাত্রীরা ভয়াবহ যানজটের মুখে পরে।

কামাল হোসেন নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা গুলশান-২ নম্বরে বাসস্ট্যান্ডে তীব্র যানজটের মুখে পড়েন। তিনি তাঁর বাসা থেকে আটটায় রওয়ানা দেন। যাবেন মতিঝিলে। কিন্তু সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীদের বিক্ষোভ আর অরোধের কারণে তাকে এক ঘণ্টা সময় পার করতে হয়েছে গুলশান-২ এর মোড়েই।

এভাবে শুধু কামাল হোসেনই নয়, হাজারো মানুষের ভোগান্তি সহ্য সীমাকেও অতিক্রম করেছে। রমজানে এমনিতেই অফিস সময় সকাল সকাল শুরু হয়। কিন্তু সে হিসাবে অফিসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েও হঠাৎ তীব্র যানজটের মুখে পড়ে যাত্রীরা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে নজরুল ইসলাম নামে এক সরকারি চাকরিজীবী গুলশান-১ নম্বর চৌরাস্তার মোড়ে এই প্রতিবেদককে জানান, দেড় ঘণ্টা ধরে এই সিগনালে আটকে আছি। রোজার মধ্যে তাড়াতাড়ি অফিসে যাবো। সেটা আর হচ্ছে না। অফিস সময় পার হয়েছে বেশ আগেই। কি যে অবস্থার মধ্যে আছি বলে বোঝানো যাবে না।

জানতে চাইলে গুলশান ট্রাফিক বিভাগের পুলিশের সহকারী কমিশনার নুশরাত জাহান বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মীদের বিক্ষোভের কারণে সকাল থেকেই গুলশান এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। এখনও গাড়ির চাপ রয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, চাকুরি স্থায়ীকরণ ও বেতন বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের অফিসের সামনে জড়ো হয়েছিল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা। বেলা ১২টার দিকে তারা সরে গেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখন সব ঠিক হয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পরিচ্ছন্নকর্মীদের উত্তর সিটি মেয়রের কার্যালয়ের সামনে অবস্থানের কারণে গুলশান এলাকায় প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মানোয়র হোসেন বলেন, আমি একটা মিটিংয়ে আছি। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।



মন্তব্য চালু নেই